রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১২:১৭ পূর্বাহ্ন

পানি নামছে, কষ্ট বাড়ছে

পানি নামছে, কষ্ট বাড়ছে

স্বদেশ ডেস্ক:

সিলেট-সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। জেলা প্রশাসনের হিসেবে ৯০ শতাংশ মানুষ বাড়িতে ফিরেছেন। কিন্তু বাড়ি ফিরেও কষ্টের শেষ নেই। খাওয়ার ব্যবস্থা নেই, ক্ষতিগ্রস্ত ঘর সংস্কারে এখন তাদের নাভিশ্বাস।

অনেকেই আবার আশ্রয়কেন্দ্রে থেকে গিয়েছেন। কারণ বাড়িতে ফিরে নেই খাওয়ার নিশ্চয়তা, বাড়ি সংস্কারে হাতে নেই কোনো টাকা। সামনে কী করবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তার অন্ত নেই তাদের। সরকারি-বেসরকারি ত্রাণ কার্যক্রম চললেও দুর্গম এলাকাগুলোতে ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন। গত চার দিন সিলেট-সুনামগঞ্জের বন্যা দুর্গত এলাকা ঘুরে মানুষের সাথে কথা বলে এসব তথ্য মিলেছে।

গত বুধবার বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গিয়েছে, বিস্তীর্ণ এলাকা এখনো পানির নিচে। ত্রাণের হেলিকপ্টার দেখে শত শত মানুষ ভিড় করছেন। তাদের অভিযোগ অপেক্ষাকৃত কাছের এলাকাগুলোতে অনেকেই ত্রাণ দিচ্ছেন। কিন্তু দুর্গম এলাকায় কেউ যাচ্ছেন না।

সিলেটের ভোলাগঞ্জের বর্ণি গ্রামের ৯০ বছরের বৃদ্ধা পেয়ারা বেগম ভোলাগঞ্জ রাস্তার পাশে এসেছেন ত্রাণের খাবার নিতে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে এই প্রতিবেদকের সাথে কথা বলার সময় পেয়ারা বেগম বলছিলেন, তার বাড়িতে এখনো কোমর সমান পানি। দু’ বেলা খাবারের জন্যই এখন তার সংগ্রাম। তার সাথে ত্রাণ নিতে এসেছেন হাফিজুন নেছা। সত্তরোর্ধ্ব এই নারী বললেন, ঘরে এখনো হাঁটু পর্যন্ত পানি, দুগর্ন্ধে থাকা যায় না। সেখানেও নেই কোনো খাবারের ব্যবস্থা। রিলিফ দেয়া বন্ধ হলে কীভাবে চলবেন তা নিয়েও রয়েছে দুশ্চিন্তা। ওই এলাকায় ত্রাণের নৌকা বা গাড়ি দেখলেই ছুটে আসছেন শত শত মানুষ। দুই বেলা খাবারের জন্য তাদের প্রাণান্তকর যুদ্ধ।

তবে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। ৯০ শতাংশ মানুষ বাড়িতে ফিরে গেছেন। তাদের ক্ষয়-ক্ষতি নির্ধারণের কাজ চলছে।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাদের ঘর মেরামতে সহায়তা করা হবে। সেই কাজে সহায়তা করতে একটু সময় লাগবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877