স্বদেশ ডেস্ক: ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে নয়াদিল্লীর কর্মকাণ্ড ও আরোপিত বিধিনিষেধ নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘ। পাশাপাশি কাশ্মিরে ভারতের বিতর্কিত পদক্ষেপ সেখানকার মানবাধিকার পরিস্থিতিকে আরো খারাপের দিকে নিয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেছে সংস্থাটি। জাতিসঙ্ঘের পক্ষ থেকে এক টুইটার পোস্টে এ কথা বলা হয়। এতে আরো বলা হয়, কাশ্মিরে আইনি কড়াকড়ি চলছে। মানবাধিকার পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে, কোনও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। বার্তায় কাশ্মিরের টেলিযোগাযোগ বন্ধ, নেতাদের নির্বিচারে আটক ও সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞায় আপত্তির বিষয়টি জোরালো ভাবে উপস্থাপন করে জাতিসঙ্ঘ।
চলতি সপ্তাহে কাশ্মিরে নতুন যে বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে তা পরিস্থিতিকে নতুন এক মাত্রায় নিয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করে জাতিসঙ্ঘ। সংস্থাটি আরো বলে,‘ভিন্নমত দমনে কাশ্মিরে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দেয়া, রাজনৈতিকভাবে ভিন্নমত পোষণকারীদের শাস্তি দিতে নির্বিচারে আটক এবং বিক্ষোভ মোকাবেলায় মাত্রাতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করে যা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুরুতর জখম ঘটায় আগের প্রতিবেদনে তার বিবরণ আছে।’
‘জাতিসঙ্ঘ এখন ওই অঞ্চলে ফের টেলিযোগাযোগে বিধিনিষেধ আরোপের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। এবারের বিধিনিষেধ আগেরবার আমরা যা দেখেছি তার চেয়েও তীব্র। এ ধরণের নিষেধাজ্ঞা জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণকে তাদের অঞ্চলের ভবিষ্যৎ নিয়ে গণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত করবে।’
১৯৪৮ সালে গৃহীত প্রস্তাব মেনে কাশ্মিরে হস্তক্ষেপ করতে জাতিসঙ্ঘের কাছে বারবার আবেদন করেছে পাকিস্তান। জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা লোপের পরে আবারো পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসকে চিঠি লিখেছেন।
তবে, ভারত জাতিসঙ্ঘের গৃহীত প্রস্তাব ভেঙেছে কি না সেই প্রশ্নের জবাবে মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখছি। মহাসচিব সব পক্ষকেই সংযত হতে বলেছেন। আপাতত এটুকুই বলতে পারি।’
অবশ্য, মহসচিব পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠি পেয়েছেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন ওই মুখপাত্র।
উল্লেখ্য, পার্লামেন্টে ভারতীয় সংবিধানে দেয়া কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের মধ্যেই রোববার থেকে ওই উপত্যকা পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে ভারত। ভারতের অন্যান্য অংশে থাকা কাশ্মিরীরাও তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। স্থানীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতাদেরকেও বন্দি করে রাখা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।