স্বদেশ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্তে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সমর্থন জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এই ধরনের পদক্ষেপে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেছে দেশটি।
গতকাল মঙ্গলবার ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস ও জিনিউজ সহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের দ্বিখণ্ডনের বিষয়টি এবং ৩৭০ ধারা বাতিলকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে অভিহিত করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ড. আহদেদ আল বান্না। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করি যে এই পরিবর্তনগুলো সামাজিক বিচার ও সুরক্ষা এবং স্থানীয় প্রশাসনের ওপর জনগণের আস্থা বাড়াবে এবং আরও স্থিতিশীলতা ও শান্তিকে উৎসাহিত করবে।’
বান্না বলেন, ‘রাজ্যের পুনর্গঠন স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে কোনো ব্যতিক্রমী ঘটনা নয়। আঞ্চলিক বৈষম্য দূর করে উন্নতির লক্ষ্যে মূলত এটি করা হচ্ছে। ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী এটি একটি অভ্যন্তরীণ বিষয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘লোকসভায় জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল পেশের বিষয়ে আমরা জানি। ৩৭০ ধারা বাতিল ও জম্মু-কাশ্মীর ভাগ করে লাদাখ গঠনের সিদ্ধান্ত ইতিবাচক হবে বলেই মনে করে সংযুক্ত আরব। মোদি সরকারের দ্বারা সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করা হলে কাশ্মীরে আর্থসামাজিক স্থিরতা ও শান্তি বাড়বে। এর ফলে মানুষের নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত হবে।’
এদিকে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্তে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে শ্রীলঙ্কাও। দেশটির প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে লাদাখের সৃষ্টিকে স্বাগত জানিয়েছেন। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘লাদাখ একটি ভারতীয় রাজ্যে পরিণত হবে। লাদাখের শতকরা ৭০ ভাগ জনগোষ্ঠী বৌদ্ধ হওয়ায় এটি বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠের দিক দিয়ে প্রথম ভারতীয় রাজ্য হবে। লাদাখ সৃষ্টি এবং ফলাফল পুনর্গঠন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এই সুন্দর অঞ্চলটি পরিদর্শনের দাবি রাখে।’
তবে মোদির এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সতর্ক বিবৃতি দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক বিবৃতিতে ভারত সরকারের এই পদক্ষেপকে কঠোরভাবে একটি অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে বর্ণনা করেছে। বিবৃতিতে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনা এবং তাদের অধিকারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ রেখায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য ভারত এবং পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।