শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
টিপু হত্যা : ওমান থেকে ফিরিয়ে আনা হলো ‘নির্দেশদাতা’ মুসাকে

টিপু হত্যা : ওমান থেকে ফিরিয়ে আনা হলো ‘নির্দেশদাতা’ মুসাকে

স্বদেশ ডেস্ক:

ঢাকার মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যার সন্দেহভাজন মূল পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা সুমন শিকদার ওরফে মুসাকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) শাহিদুর রহমান রিপনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তাকে নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তজাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন- অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. রফিকুল ইসলাম ও পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি বিভাগের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দীন।

এর আগে পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোলের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সমন্বয়ে অনুষ্ঠানিকতা শেষে ভোরে ওমানের রাজধানী মাসকাটের সালালাহ বিমানবন্দরে তাকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।

এডিসি শাহিদুর রহমান রিপন বলেন, ইন্টারপোলের সহযোগিতায় বাংলাদেশ পুলিশ দুবাই পুলিশের মাধ্যমে মুসাকে আটকের চেষ্টা শুরু করে। বিষয়টি টের পেয়ে দুবাই থেকে ওমানে চলে যান তিনি। পরে ওমান পুলিশের মাধ্যমে মুসাকে শনাক্ত করে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে দেশে ফেরত আনা হয়।

তিনি বলেন, আলোচিত এই হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন আদালতে ১৬৪ ধায়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের মধ্যে শুটার মাসুমের জবানবন্দিতে হত্যার পরিকল্পনায় মুসার নাম আসে।

জানতে চাইলে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, মুসাকে শাহজালাল থেকে সরাসরি মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হবে। সেখানে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজই তাকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চাওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৪ মার্চ রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু মাইক্রোবাসে করে শাহজাহানপুর আমতলা হয়ে বাসায় ফিরছিলেন। শাহজাহানপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে হেলমেট পরা দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে জাহিদুল ও তার গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন।

এ সময় জাহিদুলের গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী প্রীতিও গুলিবিদ্ধ হন। তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিদুল ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার পরদিন ২৫ মার্চ দুপুরে নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে শাহজাহানপুর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরে ২৬ মার্চ রাতে বগুড়া থেকে মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই ব্যক্তিই টিপুকে গুলি করেছিলেন। পরে আরফান উল্লাহ দামাল নামে আরও একজনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয় কমলাপুর থেকে।

এরপর ২ এপ্রিল মুসার ভাই সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ, মতিঝিল থানার ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় র‌্যাব।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877