স্বদেশ ডেস্ক:
সারা বিশ্বে মে মাসে খাদ্যদ্রব্যের দাম কিছুটা কমেছে। এ নিয়ে টানা দুই মাস খাদ্যদ্রব্যের দাম কমল।
শুক্রবার জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) যে সূচক প্রকাশ করেছে তাতে, গত মাসে খাদ্যদ্রব্যের দাম কিছুটা কমতে দেখা গেছে। গত মার্চ মাসে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক গড় দামের সূচক ছিল ১৫৮ দশমিক ৫ পয়েন্ট। মে মাসে সেটা ১৫৭ দশমিক ৪ পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে, আর এপ্রিলে ছিল ১৫৮ দশমিক ৩ পয়েন্ট।
গত মার্চ মাসে বিশ্বে খাদ্যদ্রব্যের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। তবে গত দুই মাসে খাদ্যদ্রব্যের দাম কমে এলেও গমজাতীয় শস্য ও মাংস উভয়ের দাম এখনো চড়া।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার পূর্বাভাস বলছে, টানা চার বছর বিশ্বে উৎপাদনের ঊর্ধ্বগতির পর এবারই প্রথম খাদ্যশস্য উৎপাদন কমতে পারে। ২০২১ সালের তুলনায় এ অর্থবছরে ১ কোটি ৬০ লাখ টন খাদ্যশস্য কম উৎপাদন হতে পারে।
গত মাসে দুগ্ধজাত পণ্য, চিনি ও ভোজ্যতেলের দাম কিছুটা কমলেও মাংসের দামের সূচক সর্বোচ্চ রেকর্ড ছুঁয়েছে।
জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা বলছে, ভারত গম রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিলে এর দাম বেড়ে যায়। এ ছাড়া ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার কারণে সেখানে উৎপাদন কম হওয়ায় বিশ্বে গমসংকটের উদ্বেগ রয়ে গেছে। তবে এপ্রিল মাসের তুলনায় ভোজ্যতেলের দামের সূচক সাড়ে ৩ শতাংশ কমতে দেখা গেছে। এর পেছনে ইন্দোনেশিয়ার পাম তেল রপ্তানি থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়টি কাজ করেছে।
এফএওর প্রধান অর্থনীতিবিদ মাক্সিমো তোরেরো কুলেন বলেন, রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা বাজারে অনিশ্চয়তা তৈরি করে। এতে পণ্যের দাম বাড়ার পাশাপাশি বাজার অস্থির হয়ে পড়ে। রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়ে বাজার সাবলীল রাখা গুরুত্বপূর্ণ।