শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০১:০১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
শেরে-বাংলার ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকী ও রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা

শেরে-বাংলার ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকী ও রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা

শায়রুল কবির খান:

আজ এই দিনে ২৭ এপ্রিল ১৯৬২ সালে যুক্তফ্রন্টের প্রাণপুরুষ শেরে-বাংলা এ কে এম ফজলুল হক আমাদের ছেড়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। তাকে স্মরণে রেখে সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক ধারাবাহিকতা এখানে তুলে ধরা হচ্ছে।

বাংলার বাঘ তথা শেরে-বাংলা নেতৃত্বে যুক্ত ফ্রন্ট পাকিস্তান মুসলিম লীগের মসনদের ভিত নড়বড়ে করার মধ্য দিয়ে
তৈরী হয় নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণ। বাংলার কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় কৃষক প্রজা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জমিদারদের হাত থেকে কৃষি জমি ফিরিয়ে এনে কৃষকদের দিয়েছেন তিনিই। তার শ্লোগান ছিল ‘লাঙ্গল যার জমি তার’।

আর ১৯৫৭ টাঙ্গাইল ‘কামগামী সম্মেলনে’ মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী স্বাধীন বাংলাদেশ জন্মের ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য পাকিস্তান শাসক গোষ্ঠীকে আসসালামু আলাইকুম জানিয়েছিলেন।

১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ পাকিস্তান শাসক গোষ্ঠীর সামরিক বাহিনীর পূর্ব পাকিস্তানে নিরীহ জনগণের ওপর ঘুমন্ত নগরীতে রাতের অন্ধকারে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে চট্টগ্রাম ক্যান্টমেন্টের মেজর জিয়াউর রহমান বিদ্রোহ ঘোষণার মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ স্বাধীন বাংলাদেশ উচ্চারণ তার কণ্ঠস্বর থেকে উচ্চারিত হয়েছিল যা আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতার ঘোষণায় রূপায়িত হয়।

১৯৭৫ পট-পরিবর্তনের পর মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান আবারো জনসম্মুখে এগিয়ে আসেন।

দেশবাসীর উদ্দেশ্য আহবান জানিয়েছেন আপনারা শান্ত হোন, নিজ-নিজ কাজে মনযোগ হোন, সামরিক বাহিনী আপনাদের পাশে আছে, দেশে ইনশাআল্লাহ শৃঙ্খলা ফিরে আসবে- আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।

দেশকে স্ব-নির্ভর করে গড়ে তুলতে সকল শ্রেণী পেশা এবং নানা পথ ও মতের নাগরিকদের অংশগ্রহণ করে তুলতে সক্রিয় হয়ে অতি অল্প সময়ে মাত্র সাড়ে চার বছরের মাথায় সোনার বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুঁড়ি কলঙ্ক ঘুচিয়ে নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরে দিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র পূর্ণ প্রবর্তনের মধ্যে দিয়ে সাফল্য অর্জন করেছেন।

সেই শেরে-বাংলার কৃষক প্রজা আন্দোলনের শ্লোগান ‘লাঙ্গল যার জমি তার’ মাধ্যমে যতটুকু কৃষকের ভাগ্য উন্নয়ন হয়েছিল, তার পরবর্তী অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কৃষকের ঘাম ঝরানো সোনালী ফলসের সবুজ বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে। তিনি শ্লোগান দিলেন- এক গুণ থেকে দুইগুণ ফসল উৎপাদনে ধাপে-ধাপে তিনগুণ ফসল উৎপাদন করব।

আধুনিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করতে ঘোষণা করলেন ১৯ দফা কর্মসূচি
বিশ্ব দরবারে জাতি রাষ্ট্র হিসেবে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে থাকতে জাতিসত্ত্বার পরিচয়ে পরিচিত করলেন ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’।

‘আধুনিক স্ব-নির্ভর’ ও ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আমাদের জন্য রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছেন ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’ যার ছায়া তলে আজ আমরা ঐক্যবদ্ধ।

এই দলকে সারা বাংলাদেশে সু-সংগঠিত করে ঘরে ঘরে নিয়ে গিয়েছেন প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।

তার নেতৃত্বে জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়ে একাধিকবার সরকার গঠন সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশকে সামনে দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন নানা চড়াই-উতরাই পার করে।

বর্তমানে দলে হাল ধরে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুযোগ্য উত্তরসূরী দেশদরদী বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

দলের লক্ষ কোটি নেতাকর্মী সমর্থকদের অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস তার নেতৃত্বে আগামীর কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ে উঠবে বিশ শতকের সুখী সমৃদ্ধির বাংলাদেশ।

লেখক পরিচিতি : সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিককর্মী

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877