শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীবাংলাদেশীদের সাথে নিয়ে মহান স্বাধীনতা  জাতীয় দিবস২০২২ উদযাপন করা হয়।কোভিড১৯ জনিত কারনে দীর্ঘ বিরতির পর সবাইকে সাথে নিয়ে স্বশরীরে মিশনেরবঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে স্বাধীনতা  জাতীয় দিবস উদযাপনের বর্নিল এই আয়োজনযুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে। বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনপরিণত হয় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের মিলনমেলায়।

অনুষ্ঠানটির প্রধান অতিথি ছিলেন নিউইয়র্ক সফররত মহিলা  শিশু বিষয়কমন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা এমপি। প্রদত্ত বক্তব্যে তিনিপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব অগ্রগতি  অসামান্যসাফল্যগাঁথা তুলে ধরেন। প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে কৃষিশিক্ষাস্বাস্থ্যযোগাযোগঅবকাঠামোবিদ্যুৎশিল্পব্যবসাবানিজ্যনারীর ক্ষমতায়নযুব উন্নয়নকর্মসংস্থানবৈদেশিক বিনিয়োগ পররাষ্ট্রসহ বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশের অদম্যঅগ্রযাত্রার বিভিন্ন দিক। মাথাপিছু আয়জিডিপি উর্দ্ধমূখী প্রবৃদ্ধিদারিদ্র্য বিমোচনগড় আয়ু বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সূচক তুলে ধরেন তিনি। পাকিস্তানসহ প্রতিবেশীদেশসমূহের সাথে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার তুলনামূলক তথ্য তুলে ধরে তিনিবলেনবাংলাদেশ এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শীপরিকল্পনা গ্রহণ  তার বাস্তবায়ন। সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাযে সকল আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন তা উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রদত্ত বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী জাতির পিতার নেতৃত্বে দীর্ঘ তেইশ বছরের স্বাধীনতাসংগ্রাম  একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি বলেনবাঙালি জাতিরমুক্তি সংগ্রামের মহানায়কসর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালিজাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুর রহমানের উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়েপড়ে। ত্রিশ লাখ শহীদ আর দুলাখ নির্যাতিত মাবোনের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়েআমরা অর্জন করি লালসবুজের পতাকাস্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। দেশগঠনেপ্রবাসীদের অবদানের স্বীকৃতি জানিয়ে তিনি জাতির পিতার স্বপ্নের সেনার বাংলাবিনির্মাণে প্রবাস থেকে আরও অবদান রাখার আহ্বান জানান।

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেনস্বাধীনতার পাঁচ দশকে বাংলাদেশ আজ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বস্ত নাম। আজ বিশ্ব শান্তিরক্ষাজলবায়ু পরিবর্তনটেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যনারীরক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকা পালন করছে। জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বাংলাদেশ এই মুহুর্তে ইউএন উইমেন নির্বাহী বোর্ডপিসবিল্ডিং কমিশনঅভিবাসনসহ বেশ কিছু সংস্থা  প্রক্রিয়ার নেতৃত্ব প্রদান করছে। এছাড়া বাংলাদেশজাতিসংঘের সাধারণ  পরিষদে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ রেজ্যুলেশন পেশ করার করারক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।

রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেনজাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ এখন সর্বোচ্চশান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের বলিষ্ঠ পদচারনারস্বীকৃতি স্বরূপ প্রধানমন্ত্রী উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি  পুরস্কার লাভকরেছেন। গত সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের উচ্চ পর্যায়েরবৈঠকে অংশগ্রহণকালে এসডিজি বাস্তবায়নে অসামান্য সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপজাতিসংঘের এসডিএসএন  ‘এসডিজি প্রোগ্রেস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে। এছাড়াপ্রধানমন্ত্রী কর্তৃক জাতিসংঘ প্রাঙ্গণের বাগানে জাতির পিতার নামে একটি বেঞ্চ একটি গাছ রোপণ করেছেন মর্মে উল্লেখ করেন তিনি যা জাতিসংঘ সদর দপ্তরে কোনরাজনৈতিক নেতার নামে বেঞ্চ স্থাপন  গাছ রোপণের প্রথম ঘটনা।

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের সম্মানে আয়োজিত  অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকরেন প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধাযুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ  এর সহযোগী সংগঠনেরনেতৃবৃন্দবিভিন্ন সামাজিক  সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দকবিশিল্পীসাংবাদিকসাহিত্যিকসহ সহ বরেণ্য প্রবাসী বাংলাদেশীগণ। তাঁরা বাংলাদেশের উন্নয়নঅগ্রযাত্রায় নিজেদেরকে আরও সম্পৃক্ত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। মিশনআয়োজিত স্বাধীনতা  জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানের প্রশংসাও করেন তাঁরা। সকলকেসাথে নিয়ে স্বাধীনতা  জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে কেক কাটেন মহিলা  শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা  রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা

প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংবর্ধনার আগে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনেরবঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতা  জাতীয় দিবস উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এসময় মহানমুক্তিযুদ্ধের শহীদদের পবিত্র আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করাহয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতিপ্রধানমন্ত্রীপররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।  উভয় পর্বেই অংশগ্রহণ করেন সফররত প্রতিমন্ত্রীফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা এমপি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877