স্বদেশ ডেস্ক:
সিলেটে বেড়েছে মশার বিস্তার, সেই সঙ্গে উপদ্রব। ঘরে-বাইরে, অফিস-আদালতে, হাসপাতাল-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সবখানেই মশার উৎপাত। কিন্তু মশা নিধনে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না সিটি কর্পোরেশন। এ নিয়ে নগরবাসীর মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে। অপরদিকে মশার কামড়ে অতিষ্ঠ নগরবাসী রাস্তায় মশারি টানিয়ে করছেন ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ।
নগরীতে প্রতি বছর মশা বাড়লে বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালিয়ে নিধনের চেষ্টা করে সিটি কর্পোরেশনে। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে মশার উপদ্রব বাড়লেও সে রকম কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। ফলে মশার অত্যাচার সহ্য করেই দিন-রাত কাটাতে হচ্ছে নগরবাসীকে।
কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন, এখন মশার বিস্তার বাড়ার সময়। চলতি মাসে মশার উপদ্রব আরো ব্যাপকহারে বাড়তে পারে। তাই এখনি মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু না করলে চলতি মাসের শেষের দিকে মশার ঘনত্ব বেড়ে চরমে পৌঁছাবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে এখন মধ্য ফাগুন চলছে। শীত শেষে শুরু হয়েছে গরম পড়া। বিগত সময়ে শীতের পর ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। তবে এবার শীত থেকে হঠাৎ করেই গরম পড়া শুরু হয়েছে। ফলে বাতাসের আর্দ্রতা কমে গেছে। বৃষ্টির পরিমাণও কম। এতে মশার প্রজননের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তাই বেড়েছে মশার বিস্তার।
এদিকে, মশা নিয়ন্ত্রণে সিসিক কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় আজ বুধবার রাস্তায় মশারি টানিয়ে ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ করেছে। সকাল ১১টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে একটি মশারি-শোভাযাত্রা শুরু হয়ে নগরভবনের নামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন সিলেট কল্যাণ সংস্থা ও সিলেট বিভাগ যুবকল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ এহছানুল হক তাহের।
এ অবস্থায় সিসিক কর্তৃপক্ষের প্রতি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন নগরবাসী।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বুধবার বিকালে বলেন, নগরীতে মশা বেড়েছে ঠিক, আমরা খুব দ্রুত নিধন অভিযান শুরু করবো। সিসিকে ওষুধের কোনো ঘাটতি নেই।