স্বদেশ ডেস্ক:
ভ্রমণের অধিকার হিসেবে পুরুষ অভিভাবক ছাড়াই এবার দেশের বাইরে ভ্রমণ করতে পারবেন সৌদি নারীরা। আজ শুক্রবার সৌদি রাজ পরিবারের এক আদেশে বলা হয়েছে, ভ্রমণের ক্ষেত্রে নারীদেরকে পুরুষের সমকক্ষতা দেওয়া হলো। ২১ বছরের বেশি বয়সী যেকোনো নারী এখন থেকে পুরুষ অভিভাবকের অনুমোদন ছাড়াই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক সব ব্যক্তিই এখন থেকে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে এবং ভ্রমণ করতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ সবাইকে সমকক্ষ হিসেবেই বিবেচনা করা হবে। এ ছাড়া নতুন এই আইনে নারীদের শিশুর জন্মের নিবন্ধন এবং বিয়ে করা বা বিয়ে বিচ্ছেদেরও অনুমোদন দিয়েছে।
এই আইন কার্যকর হওয়ার আগ পর্যন্ত, পাসপোর্ট বানানো বা দেশের বাইরে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সৌদি নারীদের জন্য স্বামী, বাবা বা যেকোনো পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল।
এই আইন অনুযায়ী সব নাগরিকেরই কর্মসংস্থানের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে এবং লিঙ্গ, বয়স বা শারীরিক অক্ষমতার ভিত্তিতে তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের বৈষম্য তৈরি করার সুযোগ নেই বলেও জানানো হয়েছে।
প্রচলিত অভিভাবকত্ব ব্যবস্থায় সৌদি আরবে প্রত্যেক নারীই কোনো না কোনো পুরুষ আত্মীয়ের অভিভাবকত্বের অধীনে থাকেন। সেই অভিভাবক বাবা, স্বামী, ভাই, চাচা-মামা-ফুপা-খালু, এমনকি ছেলেও হতে পারেন। নারীদের ক্ষেত্রে অধিকাংশ আইনি পদক্ষেপ নিতেও অভিভাবকের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন হয়ে থাকে।
সৌদি আরবের শাসক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান কিছু দিন আগেও নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেন। তবে এর মধ্যেই কানাডাসহ বিভিন্ন উন্নত দেশে সৌদি আরবের অনেক প্রভাবশালী নারীদের আশ্রয় চাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তারা লিঙ্গ-বৈষম্যের কারণে অত্যাচারের শিকার হয়ে দেশত্যাগ করতে চেয়েছেন বলেও দাবি করেছেন।