স্বদেশ ডেস্ক:
মাস খানেক বাকি থাকলেও বগুড়ার বাজারে রমজানের ছোঁয়া লেগেছে। ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে দ্রব্যমূল্যের দাম। কোনো কারণ ছাড়ায় সকল দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা করে। ক্রেতারা বলছেন রমজানে মাসের এখনো এক মাস বাকি থাকলেও বিক্রেতারা নানা অজুহাতে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে। বাজারে মনিটরিং সেলের নজরদারি কমে যাওয়ার কারণে এই সুযোগও কাজে লাগিয়েছে ব্যবসায়ীরা। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে বিপাকে পড়েছে অল্প আয়ের পরিবার।
শনিবার দুপুরে বগুড়ার রাজাবাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা যায়, তরিতরকারিসহ চাল, ডাল থেকে শুরু করে সব ধরনের নিত্য পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে মান ভেদে ১৫-২০ টাকা। খোলা বাজারে পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি। কাঁচা মরিচ কেজি প্রতি ৭০ টাকা। বেড়েছে করলার দাম। প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি টমেটো ৩০ টাকা, বেগুন ২৫, আলু ১৮ টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা, মটরশুঁটি ৭০টাকা, পাতাকপি ৩০ টাকা, শিম ৬০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, সজিনা ২০০ টাকা, আদা ৭০ টাকা, রসুন ৫০ টাকা মিষ্টি লাউ ৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সবজিতে কেজি প্রতি ৮-১০ টাকা বেড়েছে। সেই সাথে বেড়েছে মাছ, মুরগি ও মাংসের দামও।
বগুড়া শহরের রাজাবাজারের সবজি বিক্রেতা মামুন শেখ জানান, সব ধরনের সবজির দাম বাড়ছে। কয়েকটি সবজির দাম এখনই একশ টাকার ওপরে। কিছুদিন পর সবজির দাম আরও বাড়তে পারে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সবকিছু বাড়তি দামেই তাদের কিনতে হচ্ছে। যার কারণে তারাও বাধ্য হয়ে বাড়তি দামে বিক্রি করছেন।
কাঁচা বাজারের খুচরা বিক্রেতা জীবন কুমার জানান, দুই সপ্তাহ আগে পেঁয়াজের দাম কম ছিল। হঠাৎ করেই দাম বেড়ে এখন ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ার কারণে এমন বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
শহরের চেলোপাড়ার বাসিন্দা শফিউল আলম জানান, মাস শেষে যা বেতন পাই তার অর্ধেকের বেশি যায় বাসা ভাড়ায়। আর যা থাকে তা দিয়ে ২০ দিনের বাজারও হয় না। সব জিনিসপত্রের দাম এত বেড়েছে যে, কম দামি জিনিস বলতে এখন কিছু নেই। বাজার করতে আসা আবদুল আজিজ ঠান্ডু জানান, বর্তমানে সবজি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। প্রায় সব ধরনের শাক-সবজির দাম বেশি। সব মিলে বাড়তি খরচের ধকল সামলাতে হচ্ছে অতি কষ্টে।
এদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, খুচরা থেকে পাইকারি পর্যায়ে কয়েক হাত ঘুরলেই দাম দুই থেকে তিন গুণ বেড়ে যায়। রাজাবাজার আড়ৎদার ( মেসার্স মরিয়ম ট্রেডার্স) এর স্বত্বাধিকারী আমিনুল ইসলাম জানান, শনিবার বাজারে দেশী পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫-৫৫ টাকা। সেই পেঁয়াজ খুচরা বাজারে মান অনুযায়ী ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। তিনি বলেন, বাজারে আমদানি কম হলে দাম বাড়ে আর বেশি হলে দাম কমবে।