স্বদেশ ডেস্ক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে আগুনে পুড়ে স্বামী, দুই ছেলে ও গর্ভে থাকা সন্তানের পর এবার মৃত্যুর কাছে হার মানলেন অগ্নিদগ্ধ রেখা বেগম (৩২)। গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রেখার মৃত্যু হয়। নিহতের চাচা শরীফুল ইসলাম তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় মকবুলের পরিবারের কেউই আর রইল না। এ নিয়ে পুরো এলাকায় চলছে শোকের মাতম।
এদিকে আগুনে দগ্ধ হয়ে একই পরিবারের পাঁচজনের মত্যৃর কারণ খতিয়ে দেখতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলমকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরবিন্দ বিশ্বাস। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য সময় দেওয়া হয়।
এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ১০টার দিকে উপজেলা সদরের শরীয়তনগর এলাকায় এ অগ্নিকা- ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মকবুল হোসেনের ছেলে জুবায়ের পুড়ে মারা যায়। এ ঘটনায় মকবুল হোসেন ও তার স্ত্রী রেখা বেগম এবং তাদের আরেক ছেলে জয় ও ভবনের বাসিন্দা জামিয়া রহমানসহ ১০ জন দগ্ধ হন। তারা মুুমূর্ষু অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন হাসপাতালে ও ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার বিকালে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মকবুল হোসেন।
এর পর রবিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মকবুলের বড় ছেলে জয় মৃত্যুবরণ করে। পরিবারের শেষ সদস্য রেখা ছিলেন শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের লাইফ সাপোর্টে। অবশেষে সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও চলে যান না ফেরার দেশে।
এদিকে অগ্নিকা-ের ঘটনা তদন্তে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলমকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন। কমিটির সদস্য সচিব করা হয় আশুগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসারকে। বাকি সদস্যরা হলেন- আশুগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত), উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলম বলেন, তদন্ত কমিটির বিষয়ে আমরা জানতে পেরেছি। আমরা যথাসময়ে কাজ শেষ করতে পারব বলে আশা করছি।