স্বদেশ ডেস্ক:
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগে গঠিত সার্চ কমিটি কর্তৃক রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাবিত চূড়ান্ত ১০ জনের তালিকা জনগণের জ্ঞাতার্থে প্রকাশের দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি বলছে, স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিতে আইনের ৪(১) অনুচ্ছেদ মেনেই তারা দাবি জানাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগে গঠিত অনুসন্ধান কমিটি দফায় দফায় সভা ও বিভিন্নজনের মতামতের ভিত্তিতে যে ১০ জনের নামের তালিকা চূড়ান্ত করেছে তা প্রকাশের দাবি জানাই। যে আইনী ক্ষমতাবলে অনুসন্ধান কমিটির নিয়োগ- সে আইনে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশে কোনো বাধা নেই। বরঞ্চ আইনের ৪(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার স্বার্থে এই তালিকা প্রকাশের দায়িত্ব ও এখতিয়ার কমিটিকে দেয়া হয়েছে। আমরা আহ্বান জানাই ও আশা করি, অনুসন্ধান কমিটি তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্বের অংশ হিসেবেই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাবিত চূড়ান্ত ১০ জনের নামের তালিকা প্রকাশের আইনি ক্ষমতা ও সুযোগ গ্রহণ করবেন। এতে দায়িত্ব পালনে তাদের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার একটি দৃষ্টান্ত স্থাপিত হবে।’
অনুসন্ধান কমিটি স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার নীতি অনুসরণ করিয়া দায়িত্ব পালন করিবে- মর্মে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনের ৪ ধারার ১ উপধারা উল্লেখ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘অনুসন্ধান কমিটি কর্তৃক চূড়ান্ত করা ১০ জনের তালিকা প্রকাশ, আইনে নির্ধারিত স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার নীতির সাথে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই বিবেচনায়, অনুসন্ধান কমিটি আইন অনুযায়ী তার দায়িত্ব পালন করেছে, জনমনে এরূপ ধারণা প্রদানের স্বার্থেই এই তালিকা প্রকাশ করবে- এমনটাই প্রত্যাশা করি। বিশেষ করে, ইতোপূর্বে ব্যক্তিপর্যায়ে ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে অনুসন্ধান কমিটির কাছে প্রস্তাবিত ৩২২ জনের নামের তালিকা প্রকাশের যে ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে তার ধারাবাহিকতায় নাগরিক সমাজ ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের প্রত্যাশার প্রতি সম্মান জানিয়ে, এই তালিকা প্রকাশে জোর দাবি জানাই।’
টিআইবি মনে করে, নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রত্যাশিত স্বচ্ছতা দেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য কোনোভাবেই যথেষ্ট নয়। তা নির্ভর করবে নতুন কমিশনের কর্মক্ষেত্রে বাস্তব নিরপেক্ষতা, সৎসাহস ও দৃঢ়তা এবং নির্বাচনকালীন সরকারের আচরণের পাশাপাশি প্রশাসন, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও রাজনৈতিক দলসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের ভূমিকার ওপর। এতদসত্ত্বেও, অনুসন্ধান কমিটি প্রণীত তালিকাটি প্রকাশ করা হলে কমিটি তার দায়িত্ব পালনে আইনসম্মতভাবে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার নীতি অনুসরণ করতে পেরেছে এটুকু বিবেচনায়, তা জনগণের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তিদায়ক হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি