রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:১৭ পূর্বাহ্ন

রায় ‍শুনে আদালতেই সিগারেট ধরালেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি

রায় ‍শুনে আদালতেই সিগারেট ধরালেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি

স্বদেশ ডেস্ক: রাজধানীর দারুস সালাম থানার টোলারবাগ এলাকার বাসিন্দা কে এম পারভেজ হাসান হত্যা মামলায় নিহতের স্ত্রী ও দুই শ্যালকের মৃত্যুণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- পারভেজ হাসানের স্ত্রী শাহানাজ পারভীন সোমা, শ্যালক গোলাম রাব্বানী ওরফে রাব্বী এবং তানজীল আলম।

রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিত আসামিরা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

রায় ঘোষণার পর আসামিদের কোনো প্রতিক্রিয়া ছিল না। বরং রায় ঘোষণার পর দণ্ডিত গোলাম রাব্বানী ওরফে রাব্বী পুলিশ হেফাজতেই সিগারেট ধরিয়ে টানতে টানতে আদালতের বারান্দা দিয়ে নিচে নামেন।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ৩০ জুলাই রাজধানীর দারুস সালাম থানাধীন ৩১২/৪-এল, টোলারবা এলাকার কে এম পারভেজ হাসানের ভাড়া বাসায় আসামিরা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে নিহতের বাবা-মাকে না জানিয়ে তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে তাকে দাফনের চেষ্টা করেন আসামিরা।

হত্যার কারণ সম্পর্কে ওই ট্রাইব্যুনালে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আবু আবদুল্লাহ ভূঞা জানান, নিহত পারভেজ ভালবেসে সোমাকে বিয়ে করেছিলেন। ১০ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের কোনো সন্তান ছিল না। তাই পারভেজকে পরিবার অন্যত্র বিয়ে দিতে চাওয়ায় এবং পারভেজের সম্পদ হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কায় আসামিরা তাকে হত্যা করেন।

ওই ঘটনায় নিহত পারভেজের মা মমতাজ বেগম প্রায় আড়াই মাস পর ২০১২ সালের ১৪ অক্টোবর দণ্ডপ্রাপ্ত ওই তিন আসামি ও পারভেজের শাশুড়ি রোকেয়া বেগমকে আসামি করে দারুস সালাম থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে চার জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।

২০১৪ সালের ২০ জুলাই শাশুড়ি রোকেয়া বেগমকে অব্যাহতি দিয়ে আদালত দণ্ডিত তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে আদালত চার্জশিটভুক্ত ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877