স্বদেশ ডেস্ক:মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর ফলে আমেরিকায জারিফের যেকোনো সম্পদ বা প্রতিষ্ঠান জব্দ করা হতে পারে।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মুচিন বলেন, জাভেদ জারিফ ইরানের সর্বোচ্চ নেতার (আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির) বেপরোয়া বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
আর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপকে অর্থহীন কাজ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি আজ (বৃহস্পতিবার) ভোরে তার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় নিজের অফিসিয়াল টুইটার পেজে দেয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন।
জারিফ বলেন, তিনি বিশ্বব্যাপী ইরানের প্রধান মুখপত্রের ভূমিকা পালন করার কারণে তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আমেরিকা। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রশ্ন করেন: ইরানের প্রধান মুখপত্রের ভূমিকা পালনের বিষয়টি আমেরিকার জন্য এতটা বিপজ্জনক হয়ে গেল?
তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে নিজের আগের এক বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ বলেন, এ নিষেধাজ্ঞায় তার বা তার পরিবারের কোনো ক্ষতি হবে না কারণ, ইরানের বাইরে তার কোনো সম্পদ বা স্বার্থ নেই।
পার্স টুডে জানায়, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার টুইটার বার্তায় আরো বলেন, মার্কিন এজেন্ডা বাস্তবায়নের পথে তিনি মস্তবড় হুমকি হতে পেরে আনন্দবোধ করছেন। তিনি আমেরিকাকে উদ্দেশ করে বলেন, “আপনাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের পথে আমাকে হুমকি হিসেবে বিবেচনা করার জন্য ধন্যবাদ।”
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার তেহরানের স্থানীয় সময় ভোররাতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত করে। মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক সফরে গিয়ে কয়েকটি পশ্চিমা গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেয়ার পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন।
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে হওয়া পরমাণু চুক্তি থেকে গত বছর বেরিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। তারপর থেকেই দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
তবে সাম্প্রতিক সময়ের বেশ কিছু ঘটনার কারণে পারস্য উপসাগরেও উত্তেজনা শুরু হয়েছে। এর ফলে ওই অঞ্চলে সামরিক সংঘাত শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন বুধবার এক বিবৃতিতে বলেন, এটা ৯০ দিনের একটি সংক্ষিপ্ত নিষেধাজ্ঞা।