স্বদেশ ডেস্ক:
বিদায় নেয়ার একদিন আগে নির্বাচন কমিশন এর সমালোচনা নিয়ে কথা বলেছেন কে এম নরুল হুদা। তিনি বলেন,‘আমরা চেষ্টা করেছি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে এবং পরিপূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য। কোনো রকমের কারও কথায় না, আইনের শাসনের মধ্যে থাকার চেষ্টা করেছি। একটা পদের জন্য নির্বাচন করেন সাতজন, পাস করে একজন। বাকি ছয়জনের সবাই তো বলে না কিন্তু সমালোচনা তো হবেই। সমালোচনা হবে, ভালোমন্দ বলবে। এটা স্বাভাবিক, এ দেশের কালচার অনুযায়ী স্বাভাবিক। আগেও বলেছি, এখনো বলছি, হয়তো ভবিষ্যতেও বলব আশা করি।’
রোববার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত জাতীয় স্মার্ট কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সিইসি বলেন, ‘আমি মনে করি আমি সাফল্যের সাথে কাজ করেছি। সবগুলো নির্বাচন শেষ করে দিয়েছি। একটা নির্বাচনও বাকি রাখিনি। ১০ তারিখ যেটা ছিল সেটার সময় হয়েছিল। সব নির্বাচন শেষ করে এবার আমরা পরিপূর্ণভাবে নির্বাচন শেষ করেছি।’
নির্বাচন সব সুষ্ঠু ছিল কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে নূরুল হুদা বলেন, ‘না, সব সুষ্ঠু হয়েছে তা নয়। মারামারি হয়েছে, কোথাও ব্যালট ছিনতাই হয়েছে, আবার ধরা পড়েছে। নির্বাচন বন্ধ হয়েছে। পুনরায় নির্বাচন হয়েছে। সুতরাং সবগুলো নির্বাচন পরিপূর্ণ সুষ্ঠু হয়েছে, তা বলা যাবে না। কিছু নির্বাচন তো এমন হয়েছেই। আপনারাই (গণমাধ্যম) বলেন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে, প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হচ্ছে। শীতের দিনে রোদের মধ্যে নারী-পুরুষ লাইন দিয়ে ভোট দিচ্ছে, ৭০ শতাংশ ভোট দিচ্ছে, ইভিএমে ৭০ শতাংশ ভোট দিচ্ছে। এর চেয়ে সফল নির্বাচন আর কী হতে পারে?’
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের চিকিৎসা ব্যয় নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘এগুলো ব্যক্তিগত পর্যায়ের কথা-বার্তা আর বলব না।’