স্বদেশ ডেস্ক: দূর থেকে দেখে অনেকটা হাতির মতো মনে হলেও আসলে এটি বিশাল আকারের কালো রঙের একটি গরু। গায়ে-গতরে বেশ উঁচু আর স্বাস্থ্যবান। দাম শুনে গরুটিকে দেখতে আসছেন উৎসুক জনতা।
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কলিমোহর রয়েল ডেইরি ফার্মে ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা এই গরুর দাম হাঁকানো হয়েছে ২০ লাখ টাকা।
সাড়ে ৩ বছর বয়সী বিশালাকৃতির এই ষাড়টি লম্বায় ১১ ফুট ও উচ্চতায় সাড়ে ৫ ফুট। এর ওজন প্রায় ১ হাজার কেজি অর্থাৎ এক টন। খামারিরা ভালোবেসে এর নাম রেখেছেন কালা পাহাড়।
পাংশা উপজেলার কলিমোহর রয়েল ডেইরি ফার্মে কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য মোট ২০টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে কালা পাহাড়, লাল বাহাদুর, রাজা বাবু, সম্রাটসহ বিভিন্ন নাম দেওয়া হয়েছে গরুগুলোর।
গরুগুলোর প্রতিটিরই ওজন ৮০০ থেকে ৮৫০ কেজি পর্যন্ত। ওই খামারে সবচেয়ে ছোট গরুটির ওজন ৬০০ কেজি। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা আসছেন বিশালাকৃতির গরুগুলো দেখতে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর রাজবাড়ীতে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার খামারি প্রায় ৪০ হাজারের অধিক পশু প্রস্তুত করেছেন। এদের মধ্যে ষাড় গরু ও ছাগলের সংখ্যাই বেশি। এছাড়া জেলায় পশুর হাট বসবে ২৯টি।
খামারের গরু পরিচর্যাকারীরা বলেন, তারা ৬ জন সবসময় গরুগুলোর দেখাশুনা, খাবার দেওয়া, গোসল করানো, খামার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ করেন। কোনো ধরনের ওষুধ বা ইনজেকশন দেওয়া হয়নি গরুগুলোকে। ফল, ঘাস, খড়সহ প্রায় ১৪ ধরনের প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে গরু মোটাতাজা করছেন তারা।
খামার পরিচালনাকারী আব্দুর রহিম বলেন, তিনি সার্বক্ষণিক খামারের গরু ও পরিচর্যাকারীদের খোঁজ খবর রাখছেন। খামারের সবচেয়ে বড় গরু কালা পাহাড়। ঘাস, ভুট্টার সাইলেন্সসহ তার প্রতিদিনের খাবার লাগে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ কেজি। এরসঙ্গেও দেওয়া হয় দানাদার খাবার। খামারে শুধু কালা পাহাড় না, রয়েছে লাল বাহাদুর, রাজাবাবু, সম্রাটের মতো বড় বড় গরু।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলুল হক সরদার বলেন, জেলায় প্রায় সাড়ে ৬ হাজার খামারি ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে প্রায় ৪০ হাজারের অধিক পশু মোটাতাজা করেছেন, যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি করা যাবে। কৃত্রিম উপায়ে পশু মোটাতাজা করা হয়েছে এমনটি এখনও জানা যায়নি। তারা সব সময় খামারগুলো মনিটরিং করছেন বলেও জানান।