মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মার্কিন পতাকা নামিয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে উড়লো ফিলিস্তিনি পতাকা! বিএনপি সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের বিষয়টি আদালতেই সুরাহার চেষ্টা করব, হাইকোর্টের নির্দেশনা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী গাজার ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা করতে সৌদিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড চুয়াডাঙ্গায় দেশ থেকে আইনের শাসন উধাও হয়ে গেছে : মির্জা ফখরুল স্বর্ণের দাম ভরিতে কমলো ১১৫৫ টাকা তীব্র তাপপ্রবাহ : স্কুল-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে নির্দেশ হাইকোর্টের মঙ্গলবারও ঢাকাসহ ২৭ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে টর্নেডোর আঘাতে নিহত ৫
সহজ লক্ষ্যে পৌঁছাতেও ঘাম ঝরল কুমিল্লার

সহজ লক্ষ্যে পৌঁছাতেও ঘাম ঝরল কুমিল্লার

স্পোর্টস ডেস্ক:

জিততে হলে করতে হবে মাত্র ৯৭ রান। কিন্তু সহজ লক্ষ্যে বারবার খেই হারালো কুমিল্লার ব্যাটসম্যানরা। শেষের দিকে চরম চাপ সামলে কুমিল্লাকে জয় পাইয়ে দেন অঙ্কন ও তানভির। সহজ ম্যাচ বলতে গেলে কঠিন করে জিতল ইমরুল কায়েস শিবির।

শনিবার (২২ জানুয়ারি) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএলের দিনের প্রথম ম্যাচে সিলেট সানরাইজার্সকে ২ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আগে ব্যাট করতে নেমে ৯৬ রানে অল আউট হয় সিলেট। জবাবে কুমিল্লা জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ৮ বল হাতে রেখে ৮ উইকেট হারিয়ে।

সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ধারাবাহিক বিরতিতে উইকেট পড়ে কুমিল্লার। প্রথম ম্যাচে নিজের কারিকুরি দেখাতে পারেননি প্রোটিয়া ব্যাটার ফাফ ডুপ্লেসিস। ৭ বলে ২ রান করে তিনি সোহাগ গাজীর শিকার। এরপর দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন ক্যামেরন ডেলপোর্ট ও মুমিনুল হক। দলীয় ৩৪ রানের মাথায় এই জুটি বিচ্ছিন্ন করেন সোহাগ গাজীই। এলবির ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন ১৯ বলে ১৬ রান করা ডেলপোর্ট।

এর কিছুক্ষণ পর সাজঘরে ফেরেন মুমিনুলও। ২০ বলে এক চার ও এক ছক্কায় মাত্র ১৫ রান করে তিনি মোসাদ্দেকের বলে ক্যাচ দেন মুক্তার আলীর হাতে। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ও নাহিদুল শক্ত জুটির আভাস দিলেও টেকেনি। দলীয় ৪৫ রানের মাথায় বিদায় নেন কুমিল্লার অধিনায়ক। ৪ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ১০ রান করে ইমরুল মোসাদ্দেকের শিকার।

৫৫ রানের মাথায় কুমিল্লার পঞ্চম উইকেটের পতন। নাজমুল ইসলামের বলে এলবি হয়ে ফেরেন আরিফুল হক (৪)। এরপর নাহিদুলকে সাথে নিয়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান করিম জান্নাত। ৮২ রানের মাথায় এই জুটি ভাঙার পর চাপে পড়ে যায় কুমিল্লা। ১৩ বলে ১৮ রান করা করিমকে ফেরান পেসার তাসকিন আহমেদ। এর কিছুক্ষণ পর বিদায় নেন নাহিদুলও (১৬ বলে ১৬ রান)। দলীয় ৮৮ রানে নেই অষ্টম উইকেট। নাজমুলের বলে বোপারার হাতে ক্যাচ দেন শহিদুল (৮ বলে এক রান)।

এরপর রানের চেয়ে বলের সংখ্যা বেশি থাকলেও কুমিল্লার ব্যাটার ছিলেন কোণঠাসা। খেলতে থাকেন টেস্ট মেজাজে। ১৮ বলে জয়ের জন্য দরকার যখন ৮ রান, ১৮তম ওভারে কুমিল্লা তুলতে পারে মাত্র ২ রান। ১২ বলে দরকার তখন ৬ রান। শেষ বেলায় কুমিল্লার হয়ে হতাশ করেননি অঙ্কন ও তানভির জুটি। ১৯তম ওভারে উইলিয়ামসের বলে টানা চারটি সিঙ্গেল নেয় দুজন। পরে আসে দুটি ওয়াইড। তাতেই ম্যাচ জিতে যায় কুমিল্লা। ১৪ বলে অঙ্কন ৯ রানে থাকেন অপরাজিত। ৬ বলে তিন রান করেন তানভির।

এর আগে টস হেওে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ধারাবাহিক বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকে সিলেট সানরাইজার্সের। দলীয় ৭ রানে প্রথম বিদায় নেন ওপেনার এনামুল হক (৩ বল)। কলিন ইনগ্রাম ভালোর আভাসা দিয়েও দলীয় ৩৩ রানে ফেরেন সাজঘরে। ২১ বলে তিনি করেন ২০ রান।

৪০ রানের মধ্যে নেই আরো দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। নাহিদুলের বলে ৫ রান করে ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুন। অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত তানভিরের বলে আউট হওয়ার আগে করেন মাত্র ৩ রান।

দলীয় ৫৮ রানে ইংলিশ ক্রিকেটা রবি বোপারা ১৭ রানে ফেরেন মমিনুলের বলে প্লেসিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে। দলীয় ৬৫ রানে পড়ে আরো দুটি উইকেট। অলোক কাপারি (৬) হন রান আউট। করিম জান্নাতের বলে অঙ্কনের হাতে ক্যাচ দেন উইলিয়ামস (৯)।

মুক্তার আলী রানের খাতা খুলতে পারেননি। তাসকিন করেন ২ রান। বল হাতে কুমিল্লার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন নাহিদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, শহিদুল ইসলাম। তানভির, মমিনুল ও করিম নেন একটি করে উইকেট।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877