স্বদেশ ডেস্ক:
করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ মোকাবিলায় গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার সরকারি নির্দেশনার অজুহাতে কোনোভাবেই যেন পরিবহন মালিকেরা নতুন করে ভাড়া না বাড়ায়, এ দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। একই সঙ্গে ভাড়া বাড়ানোর যেকোনো ধরনের পাঁয়তারা বন্ধের দাবিও জানানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির বিবৃতিতে বলা হয়, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যেও জীবন-জীবিকা সচল রাখার স্বার্থে স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সবকিছু খোলা রেখে কেবল গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রীবহনের সিদ্ধান্তটি কাগুজে বিষয়ে পরিণত হবে। এই অজুহাতে আবারও ভাড়া বাড়ানো হলে সাধারণ মানুষের জীবন বিষিয়ে উঠবে। অতীতের মতো বর্ধিত ভাড়া দিয়ে যাত্রীদের গাদাগাদি করে যাতায়াত করতে হবে।
মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘করোনা সংকটে পৃথিবীর দেশে দেশে গণপরিবহনে যাত্রী কমেছে। অর্ধেক আসনে যাত্রীবহন করে প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গণপরিবহনে ভাড়া বাড়ানো হয়নি। ২০২১ সালে দেশের গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রীবহনের নির্দেশনায় ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হলেও রাজধানীর বাসে কোথাও কোথাও ১০০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া আদায়ের নজির আমাদের সামনে আছে।’
‘এমন সংকটে বাসে ভাড়া বাড়ানোর অজুহাতে লেগুনা, টেম্পু, অটোরিকশা, রিকশায়ও ভাড়া বহুগুণ বাড়তি আদায় করা হয়েছিল। যা আয় কমে যাওয়া মানুষের সংকটকে আরও বেশি ঘনীভূত করেছিল। তা ছাড়া রাজধানীসহ সারা দেশে গণপরিবহনের সংকট রয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে যাত্রীদের বাদুড়ঝোলা হয়ে গাদাগাদি করে যাতায়াত করতে হয়। জীবন-জীবিকা সবকিছু স্বাভাবিক রাখার এমন চিত্র সামনে রেখে গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রীবহনের সিদ্ধান্ত কখনো বাস্তবায়ন করা যাবে না’, বলেন তিনি।
সংক্রমণ প্রতিরোধে গণপরিবহনের যাত্রী, চালক-সহকারীর সবাইকে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে বাধ্য করা, যাত্রী উঠা-নামাকালে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, একজন যাত্রী নামার পর তার আসনে জীবাণুনাশক ব্যবহার এবং যানবাহন চালুর আগে জীবাণুনাশক ব্যবহার করার দাবি জানায় সংগঠনটি।
এ ছাড়াও অসুস্থ, করোনাক্রান্ত সংক্রমণ সন্দেহে চিকিৎসা অথবা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে যাতায়াতে গণপরিবহন ব্যবহার এড়িয়ে ব্যক্তিগত পরিবহন ব্যবহারের জন্য যাত্রীদের অনুরোধ জানিয়েছেন মোজাম্মেল হক চৌধুরী।