স্বদেশ ডেস্ক:
প্রাণ কোম্পানির চকলেটের প্যাকেটে পোকা থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজশাহীর পদ্মা আবাসিক এলাকার একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরস থেকে কেনা প্রাণের চকলেটে পোকা পাওয়ার কথা জানান একজন ক্রেতা।
এসব পোকা মানুষ ও বিভিন্ন প্রাণির মল ও বর্জ্যতে থাকে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার প্রাণ চকলেট কিনে প্যাকেটের ভেতরে পোকা পান ক্রেতা অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দীন। তিনি বলেছেন, তিনি শিগগির কোম্পানির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবেন। শিশু খাদ্য তৈরি ও মান সংরক্ষণে এই ধরনের গাফিলতি গুরুতর অপরাধের সামিল।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন রাজশাহীর পদ্মা আবাসিক এলাকার মিনিমার্ট ডিপার্টমেন্টাল স্টোরস থেকে প্রাণের তৈরি এক বাক্স ‘ট্রিট ব্র্যান্ডের’ চকলেট কেনেন। চকলেটের বাক্সটি খুলে তাতে থাকা কয়েকটি চকলেটের প্যাকেটের ভেতরে এক ধরনের পোকা দেখতে পান। তিনিই চকলেটগুলো তার শিশু সন্তানকে না দিয়ে তখনই ছুটে যান দোকানে। চকলেটের প্যাকেটের ভেতরে থাকা পোকা দেখান স্টোরের মালিক ও বিক্রয় কর্মীদের। প্রাণ চকলেটের প্যাকেটে থাকা পোকা দেখেন মিনি মার্টের বিক্রয়কর্মীরাও। এ সময় দোকানে থাকা প্রাণ কোম্পানির একই ব্র্যান্ডের আরও দুটি চকলেটের বাক্স খুলে সেগুলোতেও একই ধরনের পোকার উপস্থিতি দেখতে পান।
মিনি মার্ট থেকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাণ কোম্পানির রাজশাহী অঞ্চলের মার্কেটিং কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করা হয়।
চকলেটের ভেতরে পোকা পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহীর মিনি মার্ট ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের স্বত্বাধিকারী ক্যাপটেন ইকবাল হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। একটি নামি কোম্পানির পণ্যের প্যাকেটে পোকা পাওয়া অসতর্কতারই প্রমাণ মেলে। এর ফলে তার দোকানেরও সুনাম নষ্ট হয়েছে।
তিনি কোম্পানির কাছে প্রতিকার চেয়েছেন। প্রাণ চকলেটের প্যাকেটগুলো তিনি ফেরত দেবেন বলে রেখে দিয়েছেন।
প্রাণ চকলেটে পোকা পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক হাসান আল মারুফ যুগান্তরকে বলেন, এ বিষয়টি কেউ আমাদেরকে জানায়নি। তবে যিনি ভোক্তা, যিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রমাণসহ ভোক্তা অধিদফতরে অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খাদ্যপণ্য প্রস্তুতকারক প্রাণ কোম্পানি রাজশাহী অঞ্চলের মার্কেটিং বিভাগের ডিজিএম শাহাদত হোসেন অপু এ বিষয়ে যুগান্তরকে বলেন, চকলেটের প্যাকেটে কীভাবে পোকা এলো সে ব্যাপারে ল্যাবে যারা কাজ করেন তারাই ভালো বলতে পারবেন। আর এ ধরণের অভিযোগ আগে কখনো পাইনি। আমরা সেলসের লোক।
ল্যাব টেস্ট করালে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাবে বলে মনে করেন তিনি।