স্বদেশ ডেস্ক: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৭ জনে এ দাঁড়িয়েছে।
রেড ক্রিসেন্ট বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলা কার্যালয়ের তালিকা অনুযায়ী, বুধবার পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইয়ুব হোসেন জানান, মৃত শাহিনুর (৪৫) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
আগের দিন, সুগন্ধা নদী থেকে আরো দুটি লাশ উদ্ধারে মৃতের সংখ্যা ৪৬ জনে পৌঁছেছিল।
জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ শফিক জানান, সকাল ৯টার দিকে জেলার সুগন্ধা-বিশখালী নদীর মোহনার চরকাঠি থেকে অজ্ঞাতনামাদের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একজন ৪২ বছর বয়সী পুরুষ এবং আরেকজন ৩২ বছর বয়সী নারী।
লাশ দুটি আংশিক পুড়ে গেছে বলে জানান শফিক।
এদিকে, লঞ্চ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে মৃত্যুর জন্য দায়ী করে লঞ্চ মালিকদের একজন হামজালাল শাহ ও লঞ্চ স্টাফসহ আটজনকে আসামি করে ঝালকাঠির থানায় সোমবার মধ্য রাতে একটি মামলা হয়েছে।
ঢাকার বকসনানগর এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে মনির হোসেন এই মামলা করেন।
লঞ্চ ট্রাজেডির ঘটনায় তার বোন তাসলিমা আক্তার (৩০), তাসলিমার বড় মেয়ে সুমাইয়া আক্তার মিম (১২) ও সুবর্না আক্তার তানিয়া ( ৮) ও তাসলিমার ভাতিজা জুনায়েদ ইসলাম বায়েজিদ (২০) নিখোঁজ রয়েছে। তারা এই লঞ্চযোগে একসঙ্গে বরগুনায় তাসলিমা আক্তারের শ্বশুরবাড়ী যাচ্ছিল।
এর আগে সোমবার ভোরে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোঃ হামজালাল শেখ নামে লঞ্চটির এক মালিককে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক (এএসপি) এ এন এম ইমরান খান জানান, কেরানীগঞ্জ থেকে হামজালালকে গ্রেফতার করা হয়।
নৌপরিবহন অধিদফতরের করা মামলায় ঢাকার নৌআদালত লঞ্চটির চার মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দিবাগত ৩টায় ঢাকা থেকে প্রায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চটিতে আগুন লাগে।
সূত্র : ইউএনবি