স্বদেশ ডেস্ক: সবচেয়ে পরিচিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হলো ভিটামিন-ই। ভিটামিন-ই একটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যোপাদান। আলফা, বিটা, গামা ও ডেল্টা-টোকোফেরল, টোকোট্রাইনোল সব কিছুই ভিটামিন-ই পরিবারের সদস্য। ভিটামিন-ই অণু ফ্রি-র্যাডিকেলকে ইলেক্ট্রন প্রদান করার পর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। কিন্তু অন্য একটা ভিটামিন-সি ও গ্লুটাথায়োন অণু ভিটামিন-ই অণুকে ইলেক্ট্রন প্রদান করে পুনরায় সক্রিয় করে তোলে।
ভিটামিন-ই চর্বিতে দ্রবণীয় হওয়া সত্ত্বেও এটি ভিটামিন-এ এবং ডি-এর মতো লিভারে বেশিদিন সঞ্চিত থাকে না। তাই অতিমাত্রায় ভিটামিন-ই সেবন করে ফেললেও পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা নেই। অন্যসব ভিটামিনের মতো ভিটামিন-ই কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হলেও তা প্রাকৃতিক ভিটামিন-ই থেকে একটু ভিন্নতর।
মজার কথা হলো, লিভার প্রাকৃতিক ভিটামিন-ই এবং কৃত্রিম ভিটামিনের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করতে পারে। লিভার প্রাকৃতিক ভিটামিন-ই-কে সিনথেটিক ভিটামিন-ই অপেক্ষা দ্রুত গ্রহণ করতে পারে। প্রকৃতিতে যেসব খাবারে ভিটামিন-ই আছে, সেসব খাবার খুবই সহজলভ্য এবং সুলভমূল্যে আমরা পেতে পারি।
ভাতের মাড় যে জিনিসটি আমরা খুবই অবহেলা করি, সেটিই হতে পারে প্রাকৃতিক ভিটামিন-ই-এর এক বড় উৎস। কারণ ভাতের মাড়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-ই। এ ছাড়া উদ্ভিজ্জ তেল (অলিভ অয়েল, সূর্যমুখীর তেল, পাম অয়েল ইত্যাদি), সবুজ শাকসবজি, তিসি, মিষ্টিকুমড়ার বীজ, পাকা টমেটো, বাদাম, অঙ্কুরিত শস্যবীজ ও ফলমূলে প্রচুর ভিটামিন-ই রয়েছে।
লেখক : ডা. আলমগীর মতি, বিশিষ্ট হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক। ০১৯১১৩৮৬৬১৭ ০১৬৭০৬৬৬৫৯৫