শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০২:৫১ অপরাহ্ন

আজ মন্ত্রিসভায় উঠছে বাণিজ্য সংগঠন আইন

আজ মন্ত্রিসভায় উঠছে বাণিজ্য সংগঠন আইন

স্বদেশ ডেস্ক:

দায়িত্ব পালনে বাধা দিলে সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠনকে ১০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যাবে। এমন বিধান রেখে ‘বাণিজ্য সংগঠন আইন-২০২১’ প্রস্তুত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আইনটি অনুমোদনের জন্য আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। আইনটি কার্যকর হওয়ার পর থেকেই বাণিজ্য সংগঠনের জন্য লাইসেন্স ফি দিতে হবে। সরকার বিধিমালার মাধ্যমে এই ফি নির্ধারণ করবে। আইনে যৌথ চেম্বার ও নারী ব্যবসায়ী সংগঠনকেও যুক্ত করা হচ্ছে।

প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, সরকার নিযুক্ত কমপক্ষে একজন যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা মহাপরিচালক হিসেবে বাণিজ্য সংগঠন সম্পর্কিত কাজগুলো সম্পাদন করবেন। আইনের কোনো বিধান বা আদেশ লঙ্ঘন করলে বা আইনের কোনো বিধান বা আদেশ বলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা ব্যক্তির দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠনকে সরকার সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা জরিমানা করতে পারবে। এ আইনের অধীনে দেওয়া কোনো আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আদালতে মামলাও করা যাবে না। জানতে চাইলে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আইনটির

ওপর বাণিজ্য সংগঠনগুলোর মতামত নেওয়া হয়েছে। তাদের মতামত সাপেক্ষে কিছু পরিবর্তনও আনা হয়েছে। এরপর ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। তারাও কিছু বিষয় পরিবর্তন করতে সুপারিশ করে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং সাপেক্ষে আইনটি চূড়ান্ত করা হচ্ছে। এটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে।

সূত্র জানায়, দেশে ছোট-বড় মিলিয়ে চার শতাধিক বাণিজ্য সংগঠন রয়েছে। এসব সংগঠনকে সহায়তা করতে বাণিজ্য সংগঠন আইন-২০১৬ খসড়া প্রস্তুত করা হয়। পরে ২০১৭ সালে ৬ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে আইনটি আরও যুগোপযোগী করে আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে পরবর্তী সভায় তোলার নির্দেশ দেয় মন্ত্রিসভা। ওই নির্দেশনার পর বাণিজ্য সংগঠন আইন-২০১৮ প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও আইনটি চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বর্তমান প্রেক্ষাপটে গুরুত্ব দিয়ে আইনটির চূড়ান্ত রূপ দিতে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠায়।

কর্মকর্তারা জানান, বিদ্যমান বাণিজ্য সংগঠনগুলো বর্তমানে ‘ট্রেড অর্গানাইজেশন অর্ডিন্যান্স-১৯৬১’-এর আওতায় চলছে। ১৯৮৪ সালে আইনে কিছু সংশোধনী আনা হয়। কিন্তু ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৬ সালের মধ্যে জারি হওয়া অধ্যাদেশগুলো অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হয়। ফলে কার্যকারিতা হারায় ‘ট্রেড অর্গানাইজেশন অর্ডিন্যান্স (সংশোধিত) ১৯৮৪’। এটি বাংলায় অনুবাদ করা হয়। এসব অধ্যাদেশের মধ্যে কয়েকটির আবশ্যিকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনার মাধ্যমে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর মতামত নিয়ে বাণিজ্য সংগঠন অধ্যাদেশের প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে নতুন আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বর্তমানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগের পরিচালকের তত্ত্বাবধানে দেশের বাণিজ্য সংগঠনগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এই অনুবিভাগ থেকে বাণিজ্য সংগঠনগুলোকে লাইসেন্স দেওয়া, সেগুলোর সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি অনুযায়ী পরিচালনা নিশ্চিত করা, সংগঠনের ব্যবস্থাপনা যথাযথ না হলে নির্বাহী কমিটি বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগের মতো কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া যুক্তিসঙ্গত কারণে কোনো সংগঠন নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হলে কমিটির মেয়াদ বাড়ানোসহ সংগঠনগুলোর অডিট রিপোর্ট, বার্ষিক সাধারণ সভার কার্যবিবরণী মন্ত্রণালয়ে পাঠানোসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় থেকে সংগঠনগুলোর নির্বাচন পদ্ধতিসহ সব ধরনের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877