স্বদেশ ডেস্ক: সাভারে ধলেশ্বরী নদীতে গোসল করতে নেমে ধানমণ্ডি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নিখোঁজ তিন শিক্ষার্থীর একজনের লাশ রোববার সকালে উদ্ধার করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ঢাকা জোন ৪ কমান্ডার আনোয়ারুল হক খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
আনোয়ারুল হক বলেন, ব্যাংক টাউন এলাকার শেষ সীমানায় ভাসা অবস্থায় সকাল পোনে ১১টায় আকাশ (১৭) নামের একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সে সাভার ব্যাংক টাউন এলাকার বাবুল হোসেনের ছেলে। নিখোঁজ বাকী দুইজনকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
শনিবার ঢাকার ধানমন্ডির আইডিয়াল কলেজের একাদশ শ্রেণীর ১২ জন শিক্ষার্থীকে সকালে দেরি করে আসায় কলেজে ঢুকতে দেয়া হয়নি। প্রবেশ দ্বার থেকেই ফেরত পাঠানো হয়। হঠাৎ করে একজন বলে ওঠে, কলেজের এই সময়টা বেড়াতে গেলে কেমন হয়! সবাই রাজি। ছুটল সাভারের বন্ধু আকাশের সাথে তার বাড়ির উদ্দেশে। সাভার গিয়ে নদীতে নেমে গোসলে মেতে উঠল তারা। আর তখনই স্রোতের টানে ভেসে যায় তিনজন। এরমধ্যে সাভারের পশ্চিম ব্যাংক কলোনির আকাশের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ ঢাকার আগারগাঁওয়ে ষাট ফুট এলাকার মেহেদি ও তালতলার রাজন।
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এস এম সায়েদ বলেন, ১২ জন ছাত্র একই প্রতিষ্ঠানে একই শ্রেণিতে পড়ে। দেরি করায় শনিবার সকালে কলেজে ঢুকতে না পারেনি তারা। বন্ধুদের মধ্যে সাভারের বাসিন্দা আকাশ তার এলাকায় বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। অভিভাবকদের অজান্তে ১২ জন সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে সাভারে আসে। ১২ জনের মধ্যে ১১ জন নদীতে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা গোসল করে। ওই সময় স্রোতের টানে পাঁচজন ভেসে যায়। অন্য ছয়জন কোনো রকমে পাড়ে উঠতে পারে। স্থানীয় লোকজন ভেসে থাকা পাঁচজনের মধ্যে দুজনকে উদ্ধার করতে পেরেছে। অন্য তিনজন নিখোঁজ হয়ে গেলে রোববার একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে মোকেদ্দেম নামে একজন জানায়, সে ছাড়া বাকি ১১ বন্ধু নদীতে নামে। কলেজে ঢুকতে না পেরে সরাসরি তারা সাভারে চলে আসে। তবে আকাশের বাড়ি না গিয়ে নদীতে চলে আসে। তার কাছে কলেজের ব্যাগ রেখে ১১ বন্ধু নদীতে নামে। এর মধ্যে কিবরিয়া, হাসিব, ইমন, নাহিদ, রাউফোন ও জিমাম নদী থেকে পাড়ে উঠতে পারলেও ভেসে যায় জিহাদুল, মানিক, আকাশ, রাজন ও মেহেদি। এর মধ্যে জিহাদুল ও মানিককে আশপাশের লোকজন উদ্ধার করতে পারে।