স্বদেশ ডেস্ক:
শুধু মন্ত্রীত্ব নয়, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসানকে এমপি পদ থেকে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। গতকাল সোমবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে তিনি বলেন, ‘শুধু মন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করলেই হবে না, এমপি পদে থাকারও ন্যূনতম যোগ্যতা তার নেই।’
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান কয়েকদিন ধরে টানা নারীদেরকে নিয়ে অশ্লীল কথা বলে যাচ্ছিলেন। উনার ভাইরাল হওয়া ভিডিও একটি সত্য হলেও কোনো পদে থাকার অধিকার তার নেই। খবর পেলাম একটু আগে তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। এই সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। এর মাধ্যমে প্রমাণ হলো ‘পাপ বাপকেও ছাড়ে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু মন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করলেই হবে না। উনি জামালপুরের যেখান থেকে এমপি হয়েছেন, এই চরিত্র নিয়ে তার এমপি পদে থাকার ন্যূনতম যোগ্যতা নেই। দ্রুত তার এমপি পদ থেকে পদত্যাগ করা উচিত। কারণ উনার কাছে কোনো মা-বোন নিরাপদ নয়।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই জরুরি ভিত্তিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তার অশ্লীল ভিডিওগুলো অপসারণ করেন। অপসারণ না করলে অল্প বয়সের ছেলেমেয়েরা এই ধরনের গালাগালি এবং অশ্লীল কথাবার্তা শুনে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বে। তাই প্রতিমন্ত্রীর অশ্লীল অডিও-ভিডিও দ্রুত সরাতে হবে।’
সম্প্রতি একটি ভার্চুয়াল টকশোতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন ডা. মুরাদ। এরপর তার সমালোচনা করেন অনেকে। শুধু তাই নয়, তার পদত্যাগেরও দাবি ওঠে।
এ ছাড়া ডা. মুরাদ হাসান ও ঢালিউডের এক চিত্রনায়িকার মধ্যকার কথোপকথনের কল রেকর্ড ফাঁস হয়। যা ইতোমধ্যে টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে। অডিও ক্লিপটিতে শোনা যায়, ওই নায়িকাকে তাৎক্ষণিক তার কাছে যেতে বলছেন মুরাদ। নায়িকা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হুমকি দেন প্রতিমন্ত্রী।