স্বদেশ ডেস্ক:
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা আব্বাস আলীর তিন দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২-এর বিচারক শংকর কুমার বিশ্বাস শুনানি শেষে তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে পুলিশ মেয়র আব্বাসকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে হাজির করেন।
নির্ধারিত সময়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় আব্বাসকে। পুলিশের আবেদন করা ১০ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদনের শুনানি হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন মেট্রোপলিটন আদালত ২-এর পিপি মোসাব্বিরুল ইসলাম। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে পৃথক একটি জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মেয়র আব্বাসের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
পাবলিক প্রসিকিউটর মোসাব্বিরু ইসলাম জানান, সোমবার আব্বাসকে আদালতে তোলা হয়। পরে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত মেয়র আব্বাসের তিন দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এ ছাড়া এ ঘটনার সঙ্গে আর অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা সেই বিষয়টি মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে বিস্তারিত তদন্তেরও নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
এদিকে মেয়র আব্বাসকে আদালতে তোলার কারণে জোরদার করা হয় আদালত এলাকার নিরাপত্তা। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তৎপর দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের।
উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর রাজধানীর একটি হোটেল থেকে র্যাব সদস্যরা রাজশাহীর কাটাখালী পৌর মেয়র আব্বাসকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার করে। পরে গত ২ ডিসেম্বর র্যাবের পক্ষ থেকে আরএমপির বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। বোয়ালিয়া থানা পুলিশ রাসিকের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিনের করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আব্বাসকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। সেই সঙ্গে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়।
এর আগে গত ২৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে মেয়র আব্বাসের ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্যের অডিও ফাঁস হয়। এ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলা করেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন।
এ ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক পদ থেকে আব্বাস আলীকে অব্যাহতি দিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। মেয়র পদ থেকে অপসারণে আব্বাস আলীর প্রতি অনাস্থা জানিয়ে জেলা প্রশাসককে পৌরসভার সব কাউন্সিলর স্মারকলিপি দিয়েছেন।