স্বদেশ ডেস্ক: নতুন করে পড়াশুনার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করার উপকারিতা কিন্তু গবেষণায়ও প্রমাণ হয়েছে। প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েব পোর্টাল ডিজিটাল ট্রেন্ডসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, ছাত্ররা যা শোনে তার ২০ শতাংশ, যা দেখে তার ৩০ শতাংশ এবং যা করে বা অনুকরণ করে তার প্রায় ৯০ শতাংশ পর্যন্ত মনে রাখতে পারে। কৃত্রিম পরিবেশের সঙ্গে ছাত্ররা মানিয়ে নিতে পারে এবং এর ভেতরকার বিভিন্ন বস্তুকে পরিবর্তিত করতে পারে। এটা ‘করার মাধ্যমে শেখা’ প্রক্রিয়াকেই সমর্থন করে এবং সৃজনশীলতাকে উৎসাহ দেয়। তিনটি উপায়ে এই ভার্চুয়াল রিয়েলিটির শিক্ষণের সুবিধা পাওয়া যাবে কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেখা, শোনা, ছোঁয়া ও ঘ্রাণ নেওয়ার মতো সংবেদনশীল অভিজ্ঞতা দেওয়ার কৃত্রিম প্রযুক্তির নাম ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর)। ইউনিমার্সিভ নামের এক প্রতিষ্ঠান শিক্ষায় ব্যবহার করছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তি। ইতোমধ্যেই অবশ্য স্যামসং গিয়ার ভিআর ও অকুলাস রিফটের জন্য অ্যাপ তৈরি করেছে তারা। কৃত্রিম পদ্ধতির শিক্ষাদানের এই প্রযুক্তিকে জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে ইউনিমার্সিভ। অকুলাস স্টোরে অ্যাপটি এখন বিনা মূল্যেই পাওয়া যাচ্ছে। তিনটি উপায়ে এই ভিআর শিক্ষণের সুবিধা পাওয়া যাবে। প্রথমটি একজন ব্যবহারকারীকে দেবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের ভেতরটা দেখার সুযোগ। দ্বিতীয়টিতে মানবদেহের দৈহিক গঠন জানার জন্য থাকছে একটি বিস্তারিত মানবদেহ। আর সবশেষে আছে একটি ইতিহাসবিষয়ক পাঠদান কার্যক্রম, যাতে যুক্তরাজ্যের উইলটশায়ারের ঐতিহাসিক বর্ণনা আছে এবং সেটি আজ থেকে চার হাজার বছর আগে কেমন দেখতে ছিল, সেটাও জানা যাবে।