স্বদেশ ডেস্ক:
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক বিবাহিত নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের ওই নেতার বিরুদ্ধে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম তারেক হাসান। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং মালিখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ তুতবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। এর আগে গত বুধবার নাজিরপুর উপজেলায় ধর্ষণের এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই নারীর বাবা মারা যাওয়ার পরে মায়ের সঙ্গে মামা বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। তবে পাশ্ববর্তী চিতলমারী উপজেলায় ওই নারীর বিয়ে হলেও স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় আবারও মামা বাড়িতে মায়ের কাছে চলে আসেন। বুধবার রাতে ওই নারীর মা বাড়িতে না থাকায় রাত ১০টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে।
এ সময় ভুক্তভোগীর মামাতো ভাই সুজনসহ স্থানীয়রা ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করলেও তিনি কৌশলে পালিয়ে যান। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার ওই নারী বিয়ের দাবিতে সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ছাত্রলীগ নেতার ঘরে অবস্থান করেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, তারেক দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের প্রলোভনে তাকে ধর্ষণ করে আসছে। বুধবার রাতে ঘরে ঢুকে আবারও তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করলেও সে কৌশলে পালিয়ে যায়।
উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. তরিকুল ইসলাম চৌধুরী তাপস জানান, ধর্ষণের সত্যতার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুনিরুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে তাৎকক্ষণিকভাবে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ ওই ছাত্রলীগ নেতার বাড়ি থেকে ভুক্তভোগী নারীকে থানায় নিয়ে আসে। এরপর তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে।
এদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা তারেককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।