শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৩ অপরাহ্ন

প্রেম থেকে বিয়ে, মনোমালিন্যের পর স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

প্রেম থেকে বিয়ে, মনোমালিন্যের পর স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

স্বদেশ ডেস্ক:

অল্প বয়সেই প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয় নাজমুল হাছান ও ছবি আক্তারের। প্রেমের সম্পর্কের একপর্যায়ে বিয়ে করেন তারা। সংসারও চলে ৮ মাস। এরপরই বাবার বাড়ি গিয়ে আর ফিরে আসেননি স্ত্রী ছবি। সুযোগ বুঝেই শ্বশুর এমাদুল মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধে ঠুকে দিলেন ধর্ষণ ও অপহরণ মামলা। সেই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানার পর এখন পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে স্বামী হাছানকে। ঘটনাটি বরগুনার পাথরঘাটার।

স্থানীয় শাহ আলম তালুকদার ও নাজমুলে পরিবার জানান, উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের কালীবাড়ি গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে নাজমুলের (২০) সাথে প্রতিবেশী এমাদুল হকের মেয়ে ছবির প্রেমের সম্পর্ক হয়। ছবি আক্তার নাজমুলের বাড়িতে স্ত্রীর দাবি নিয়ে আসায় ওই সম্পর্কে বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। ৮ মাস আগে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুর রহমানের মধ্যস্ততায় পারিবারিকভাবে বয়স না হওয়ায় ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে নিকাহ রেজিস্ট্রি ছাড়াই স্থানীয় মৌলভীর দিয়ে বিয়ে হয়। নাজমুলের মা প্রতিবন্ধী হওয়ায় সংসারের সকল দায়িত্ব পড়ে স্ত্রী ছবির উপর। সংসারের কাজ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য ছবি আক্তার বাবার বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। পরে সেখান থেকে আর বাড়িতে না আসায় নাজমুল তার স্ত্রীকে একাধিকবার আনতে গেলেও তিনি আসবেন না বলে জানিয়ে দেন। ৮ মাসের দাম্পত্য জীবন ইতি টানতে চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ছবি আক্তারের বাবা এমাদুল হক বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে জামাই নাজমুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

তারা আরো জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান তাদের বিয়ে দিয়েছেন এখন তিনিই আবার মেয়ের বাবাকে দিয়ে ছেলেকে ফাঁসানোর জন্য মামলা দায়ের করিয়েছেন, একজন জনপ্রতিনিধির কাছে আমরা সাধারণ মানুষ এটা আশা করিনি। সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান।

স্থানীয় মৌলভী আব্দুল মান্নান মুন্সি জানান, প্রথমে আমি বিয়ে পড়াতে চাইনি পরে ইউপি সদস্যের নির্দেশেই ছেলে ও মেয়ের বিয়ে পড়িয়েছি।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান তার অভিযোগ অস্বীকার করে প্রথমে কিছুই জানেন না বলে জানালেও পরে তিনি শুনেছেন বলে জানান। স্ট্যাম্পের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেননি এবং তার এলাকায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে শুধু সেই বিষয়ে জানেন।

ওই মামলার বাদি ও ছবি আক্তারের বাবা এমাদুল হক বলেন, আমার মেয়েকে নাজমুলসহ আরো দুজন মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে দুদিন পর মাদাতলা নামক স্থানে ফেলে রেখে যায়। নাজমুল আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে, তাকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলাবোই।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877