স্বদেশ ডেস্ক:
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সুমাইয়া আক্তার (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রীকে কোচিংয়ে যাওয়ার সময় গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। একই সাথে মনির হোসেন (১৭) নামে এক কিশোরকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে।
বুধবার সকালে কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার শামসুল হক কলেজের সামনের একটি ভবন থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মনির হোসেনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঘটনার কারণ জানা যায়নি।
সুমাইয়া কালিহাতী উপজেলার পালিমা (উত্তরপাড়া) গ্রামের মো: ফেরদৌসের মেয়ে। তিনি এলেঙ্গার একটি ভাড়া বাসায় পরিবারের সাথে থেকে এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীতে পড়তেন। এছাড়া মনির হোসেন একই উপজেলার মশাজান গ্রামের মেহের আলীর ছেলে। মনির পেশায় পরিবহন শ্রমিক বলে জানা গেছে।
এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল করিম বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়ার গলা কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সকাল ৭টার দিকে তিনি স্থানীয় একটি কোচিংয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে।
কালিহাতী থানার ওসি মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, সকালে স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় দু’জনকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে সুমাইয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় আশঙ্কাজনক অবস্থায় মনিরকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে কী কারণে, কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি, তদন্ত চলছে।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক রাজিব পাল জানান, মনিরের গলায় ও পিঠে কাটা জখম আছে এবং পেট থেকে ভুড়ি বেরিয়ে গেছে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানেও ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে।