স্বদেশ ডেস্ক: ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু। বর্তমানে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি রোগীর বেশির ভাগই ডেঙ্গু আক্রান্ত। প্রতিদিনই নতুন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। বেডে জায়গা না পেয়ে ফ্লোরে শুয়েও চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। ফলে সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালেই এখন উপচে পড়া ভিড়। কেউ রোগীর সেবা করছেন, কেউ রক্তের জন্য ছোটাছুটি করছেন। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সম্প্রতি বেশ কয়েকজন মারা যাওয়ায় রোগী ও স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ডেঙ্গুর ভয়াবহতায় হাইকোর্ট ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন। দুই সিটি ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা নিধনে নানা উদ্যোগ নিলেও তা কোনো কাজে আসছে না।
সারা দেশে ব্যাপক হারে বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। বিশেষ করে রাজধানীতে এর প্রভাব খুবই বেশি। ঢাকার হাসপাতাল ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতাল : রাজধানীর বৃহৎ এ সরকারি হাসপাতালে প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছে। রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকার এক ব্যবসায়ীর প্রাইভেটকার চালান মোস্তফা লাবু। গত সাত দিন ধরে শরীরে জ্বর অনুভব করছিলেন। তিন বেলা তিনটা নাপা এক্সট্রা খেয়ে জ্বর নিবারণের চেষ্টা করেন তিনি। দুই দিন আগে দুই হাতে রেশ, বমি-বমিভাব আর চোখে অসহনীয় ব্যথা অনুভব করায় উদ্বিগ্ন হয়ে আসেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। চিকিৎসক দেখে সাথে সাথে তাকে ভর্তির পরামর্শ দেন। টেস্টে ধরা পড়ে, তিনি ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত। গতকাল ঢামেক হাসপাতালের নতুন ভবনের ষষ্ঠতলার মেডিসিন ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, তিনি ঘুমিয়ে আছেন। ক্লান্ত শরীরে পাশে স্ত্রী ও চার বছরের শিশুসন্তানটি বসে আছে। সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির এমন জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় দিশেহারা পরিবারটি। মোস্তফার মতো ঢামেক হাসপাতালের নতুন ভবনের চার, পাঁচ ও ছয় তলায় মেডিসিন বিভাগের ওয়ার্ডে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা চোখে পড়ার মতো। সর্বশেষ ২২ জুলাই সকাল ১০টা থেকে গতকাল সকাল ১০টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৯৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। সেই হিসাবে প্রতি ১৪ মিনিটে ভর্তি হচ্ছেন একজন রোগী। এ ছাড়া আগের দিন রোববার নতুন ভর্তি ছিল ৮৯ জন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩৪৯ জন। ঢামেক হাসপাতালে এখন পর্যন্ত চার রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। নতুন ভবনের মতো একই চিত্র ঢামেক হাসপাতালের পুরাতন ভবনের শিশু বিভাগের। সেখানেও বেশির ভাগ শিশু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। চিকিৎসকরা বলছেন, মূলত তিন থেকে আট বছরের শিশুরা বেশি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। দেড়-দুই বছরের শিশুরাও আসছে, কিন্তু তাদের সংখ্যা কম। ঢামেকের মেডিসিন আর শিশু বিভাগগুলোর কেবিন, ওয়ার্ড, বারান্দা সব স্থানেই ডেঙ্গু রোগী ভর্তি।
ঢামেক সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত এ হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন মোট এক হাজার ৬৪ জন, যাদের মধ্যে ৯১১ জন ভর্তি হয়েছেন গত ২২ দিনে। এ ছাড়া জানুয়ারিতে তিনজন, ফেব্রুয়ারিতে শূন্য, মার্চে চারজন, এপ্রিলে তিনজন, মে মাসে আটজন, জুনে ১৩৫ জন ভর্তি হয়েছেন। তবে জুলাইয়ের ২২ দিনে এক লাফে এ সংখ্যা ৯১১-তে উন্নীত হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, এ বছরের জুলাইয়ের ডেঙ্গু পরিস্থিতি অন্য যেকোনো বছরের যেকোনো মাসের তুলনায় ভয়াবহ। এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত মোট ৩৪৯ জন ঢামেকে চিকিৎসাধীন। প্রতিদিনই অসংখ্য রোগী হাসপাতালের আউটডোরে আসছেন। যাদের অবস্থা খারাপ মনে করছি, আমরা তাদের সাথে সাথে ভর্তি করছি। জুলাইয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে অতিরিক্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন, যা হাসপাতালের জন্য একটি বারডেন (বোঝা)। তবে আমরা আমাদের মতো পরিস্থিতি ম্যানেজ করছি।
সেন্ট্রাল হাসপাতাল : রাজধানীর গ্রিন রোডের সেন্ট্রাল হাসপাতালে অনেকটা বানের পানির মতো ভর্তি হচ্ছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। বাড়তি রোগীর চাপে প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ অন্য কর্মকর্তারা। গতকাল হাসপাতালের রোগী, চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তারা জানান, প্রায় এক মাস ধরে প্রতিনিয়ত অর্ধশতাধিক ডেঙ্গু রোগী ভর্তি থাকছেন। মাঝে মধ্যে অবস্থা এমন হচ্ছে, রোগীর মাত্রাতিরিক্ত চাপে বেড দেয়াও সম্ভব হচ্ছে না। বেড পেতে অনেক সময় রোগীর স্বজনরা বাড়তি টাকা দেয়ারও অফার করছেন।
জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত হাসপাতালে ৬৬ ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে নতুন রোগী ১৬। আগে ভর্তি ২৭ রোগী চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। এর আগের দিন সোমবার হাসপাতালে ৭৭ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি ছিলেন। নতুন ভর্তি হন ১৮ জন। বিপরীতে আগের ভর্তি থাকা ১৫ রোগী চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। ২১ জুলাই হাসপাতালে নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন ১১ জন। চিকিৎসাধীন ১৮ রোগী ছাড়পত্র নিয়ে চলে যান। ওই দিন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৭৪। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, এভাবে প্রতিদিনই এ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছেন। সেই সাথে চিকিৎসা নিয়ে কিছু রোগী হাসপাতাল ছাড়ছেন।
হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল : রাজধানীর ইস্কাটনে অবস্থিত হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা ৫০০। এর মধ্যে ১৬০টিতেই ভর্তি আছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এ হাসপাতালে কোনো মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হননি। গত ১ মে হাসপাতালে প্রথম ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন। গত ৭ জুলাই পর্যন্ত মোট ২২২ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন। গতকাল পর্যন্ত ৫৮৫ রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এ হাসপাতালে ভর্তি হন। গত ১৬ দিনে হাসপাতালে ৩৬৩ রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেন। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত সোমবার থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ৬০ রোগী ভর্তি হয়েছেন। ওই ৬০ জনসহ বর্তমানে ১৬০ ডেঙ্গু রোগী এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালটিতে এখন পর্যন্ত ভর্তি ৫৮৫ ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ১৬০ জন ছাড়া বাকিরা চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত কোনো রোগী মারা যায়নি বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়। তারা আরো জানায়, ৫০০ শয্যার সবক’টি রোগীতে পূর্ণ। মঙ্গলবার বিকেল ৪টার মধ্যে কিছু রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়বেন। তারা গেলে নতুন রোগী ভর্তি করা সম্ভব হবে।
ঢাকা শিশু হাসপাতাল : ঢাকা শিশু হাসপাতালেও প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছেন। তিন দিন ধরে জ্বরে ভুগছিল শিশু নুসরাত জাহান রিয়া (৫)। গত সোমবার শ্যামলীর ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ডেঙ্গু ধরা পড়ে। মেয়েকে নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যেই বড় ছেলে সানি (৯) ও বৃদ্ধা মা-ও ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। পরিবারের তিনজনের ডেঙ্গু ধরা পড়ায় বিপাকে পড়ে নি¤œ-মধ্যবিত্ত পরিবারটি। গতকাল ঢাকা শিশু হাসপাতালের ৭ নং ওয়ার্ডের ১০ নং বেডে ভর্তি রিয়ার বাবা রবিউল ইসলাম বলেন, মেয়ের জ্বর ছিল নিয়ন্ত্রণের বাইরে। জ্বরের সাথে খিঁচুনি, রক্ত বমি ও নাক মুখ দিয়ে রক্ত আসে। ডাক্তাররা রাতে মেয়ের পালস পাচ্ছিলেন না।
রীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা গেল, ডেঙ্গু হয়েছে। রক্তের প্লাটিলেট কমেছে। ডাক্তাররা এখন চিকিৎসা করছেন। রাজধানীর মাদারটেকের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম। পেশায় গাড়িচালক, থাকেন ভাড়া বাসায়। তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের মশা মারার লোকজন পাড়ায় ও গলিতে ধোঁয়া (ওষুধ) দিয়ে চলে যায়। বাসার নিচে কিংবা ছাদে কেউ আসে না। আজ আমাগো পরিবারের তিনজনের ডেঙ্গু জ্বর। মেয়েকে ভর্তি করছি। ছেলেকেও আজ ভর্তি করাতে হচ্ছে। এখন বৃদ্ধা মাকে নিয়ে বিপাকে আছি। আমাদের অবস্থা কি সিটি করপোরেশনের মেয়র বুঝবেন? আমাদের যে কী জ্বালা, ড্রাইভার হিসেবে আমার কতই-বা আয়! কী এক মশায় আজ পুরো পরিবার হাসপাতালে!’
ঢাকা শিশু হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম বলেন, এ বছর এখন পর্যন্ত ২২৮ শিশু ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। এখনও ৬৫ শিশু ভর্তি আছে। গতকাল সোমবার ১৬ শিশু ভর্তি হয়। তিনি আরো বলেন, মে মাসের শেষ সময় থেকে হাসপাতালে বাড়তে থাকে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। জুলাইয়ে এসে রোগীর সংখ্যা আরো বেড়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মনিটরিং ও হাসপাতালের নিবিড় তত্ত্বাবধানে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা চলছে। এখানে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ডেঙ্গু সেল এবং নিবিড় চিকিৎসার জন্য আলাদা চিকিৎসক টিম গঠন করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে আরো জানা গেছে, এখানে ছয় রোগীর অবস্থা ক্রিটিক্যাল হওয়ায় ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ১০ বেডবিশিষ্ট আলাদা ডেঙ্গু সেলে ১০ শিশু ভর্তি রয়েছে। বাকি শিশুদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ও কেবিনে ভর্তি রাখা হয়েছে।
মিটথফোর্ড হাসপাতাথলে এক সপ্তাথহে সাথড়ে ৭’শ ডেঙ্গু রোগী ভথর্তি : আমাদের সংবাদদাতা শামীম হাওলাদার জানিয়েছেন, রাজধানীর স্যার সথলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কথলেজ মিটথফোর্ড হাসপাতাথলে গত এক সপ্তাথহে সাথড়ে ৭ শ’ ডেঙ্গু রোথগী ভথর্তি হথয়েথছেন। গতকাল নতুন করে আথরো ৭০ জন ভথর্তি হয়েথছেন।
ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত সবুজ নাথমে এক ফাথর্মেসি দোকাথনি জানান, হঠাৎ গায়ে জ্বর, বমি বমি ভাব, আর চোখে অসহনীয় ব্যথা অনুভব করায় উদ্বিগ্ন হয়ে আসেন মিটথফোর্ড হাসপাতালে। সেখানে তাকে দেখে চিকিৎসক সাথে সাথে ভর্তির পরামর্শ দেন। আর টেস্টে ধরা পড়ে ডেঙ্গু জ্বর। মিটথফোর্ড হাসপাতাল একটি সূত্র জানায়, হাসপাতালের নতুন ভবনের ৬ তলা ও তিন নম্বর ভবথনের তিন তলা মেডিসিন বিভাগের ওয়ার্ডে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা চোখে পড়ার মতো। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত মোট ৭০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, মূলত তিন থেকে আট বছরের শিশুরা ডেঙ্গুতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। দেড়-দুই বছরের শিশুরাও আসছে। কিন্তু তাদের সংখ্যা কম। থমিটথফোর্ড হাসপাতালের মেথডিথসিন বিভাগের আর পি ডাক্তার অসীম চক্রবর্তী নয়া দিগন্তথকে বথলেন, ডেঙ্গু জ্বথরে আক্রান্ত হথয়ে গত এক সপ্তাথহে সাড়ে ৭ শ’ রোগী ভথর্তি হথয়েথছেন হাসপাতাথলে। তার মথধ্যে সাথড়ে ৫ শ’ রোগী চিথকিৎসা নিথয়ে ভাথলো হথয়ে গেথছেন। বর্তমাথনে ১৮৮ জন ভথর্তি আথছেন। তিথনি বথলেন, প্রথতিথদিন বথহিথর্বিভাথগে চার থেথকে ৫ শ’ রোথগী ডেঙ্গু জ্বর আতঙ্ক নিথয়ে টিথকিট কিথনেন। আবার কেউ কেউ অন্যথ কোথনো হাসপাতাথলে চিথকিৎসা নিথতে চথলে যান। তথবে অন্য কারথণে জ্বর হথলেও রোথগী ও তার পথরিবাথরের লোকজন ডেঙ্গু রোগ আতথঙ্কে থাকথছেন। মিটথফোর্ড হাসপাতাথলের চিকিৎসকরা পর্যাপ্ত কেয়ার নিথচ্ছেন। এ যাবৎ কোথনো রোগীর মৃত্যু হয়থনি। অবশ্য চারজথনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সভা : ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ায় গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতর এক সভা আহবান করে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা: আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা: নাসিমা সুলতানা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা: এডউইন সালভাদর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভায় সারা দেশে ডেঙ্গু মোকাবেলায় ১৩ দফা সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, জরুরি ভিত্তিতে ডেঙ্গু আধুনিক চিকিৎসা সংবলিত পকেট বুক ও ফ্লোচার্ট তৈরি সর্বস্তরের চিকিৎসক ও হাসপাতালগুলোতে বিতরণ, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া বিষয়ে চিকিৎসকদের কর্মশালার আয়োজন প্রভৃতি।
দুই সিটি করপোরেশনের উদ্যোগ : রাজধানীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ায় সম্প্রতি হাইকোর্ট দুই সিটি করপোরেশনকে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানান। সে আলোকে দুই সিটি করপোরেশন হটলাইন চালু, শোভাযাত্রা, মেডিক্যাল টিম গঠন করে বাড়িতে বাড়িতে চিকিৎসা, বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মশার লার্ভা ধ্বংসে উদ্যোগসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু তারপরও কোনো উদ্যোগ কাজে আসছে না। ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে আশঙ্কাজনক হারে।