রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১১ পূর্বাহ্ন

অবৈধ সম্পদের মামলায় বাবরের ৮ বছরের কারাদণ্ড

অবৈধ সম্পদের মামলায় বাবরের ৮ বছরের কারাদণ্ড

স্বদেশ ডেস্ক:

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তথ্য গোপনের মামলায় ৮ বছরের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার ৭ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় বাবরকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবার কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে গত ৪ অক্টোবর মামলাটির যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার এ দিন ঠিক করা হয়।

গত ৪ অক্টোবর দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রার্থনা করেন। অন্যদিকে বাবরের পক্ষে আইনজীবী আমিনুল ইসলাম অভিযোগ প্রমাণিত হয় নাই খালাস পাওয়ার পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি উপস্থাপন করে বেকসুর খালাস প্রার্থনা করেন।

মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৬ (১) ধারায় অসঙ্গিতপূর্ণ হিসাব দাখিলের জন্য ৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ২৭ (১) ধারায় জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের জন্য ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর বাবর আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং কোন সাফাই সাক্ষী দিবেন না মর্মে জানান।

২০০৭ সালের ২৮ মে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে যৌথবাহিনীর হাতে আটক হওয়া এ আসামির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের মামলাটি ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি রমনা থানায় দায়ের করা হয়। তদন্ত শেষে ওই বছরই দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক রূপক কুমার সাহা এ চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটে বাবরের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৫ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকার অবৈধ সম্পদ রাখার অভিযোগ করা হয়। তিনি দুদকে ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১২ টাকার সম্পদের হিসাব দাখিল করেছিলেন। তার অবৈধ সম্পদের মধ্যে প্রাইম ব্যাংক এবং এইচএসবিসি ব্যাংক দুইটি এফডিআর-এ ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ২১৮ টাকা এবং বাড়ি নির্মাণ বাবদ ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৮ টাকা গোপনের কথা উল্লেখ করা হয়।

২০০৮ সাল থেকে কারাগারে থাকা এ আসামির একটি অস্ত্র মামলায় ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তার ১৭ বছর কারাদণ্ড হয়। এরপর ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসির আদেশ হয়। তার বিরুদ্ধে সাব্বির হত্যা মামলার বসুন্ধরার শাহআলম পরিবারকে বাঁচাতে ঘুষ গ্রহণে দুর্নীতি এবং আয়কর ফাঁসির মামলাসহ ছয়টি মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877