স্বদেশ ডেস্ক:
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে প্রথম মুখোমুখি বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দুই দেশের মধ্যে একসময় উষ্ণ সম্পর্ক ছিল এবং নেমে এসেছে তিক্ততা। এ ছাড়া আফগান যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্র-যেখানে পাকিস্তানের ভূমিকা অপরিহার্য। সব মিলিয়ে এ বৈঠকের ইস্যুগুলো নিয়ে সংবাদমাধ্যম সরব রয়েছে। ইমরান খান ২১ জুলাই তিন দিনের সফরে ওয়াশিংটন পৌঁছেছেন।
গতকাল ২২ জুলাই ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৈঠকের ফল পাওয়া যায়নি। কিন্তু বৈঠকের সম্ভাব্য ইস্যু নিয়ে বার্তা সংস্থা বিবিসি ও ডন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে সন্ত্রাস দমনে মোটা অঙ্কের মার্কিন সহায়তা বন্ধ করে দেন। সেই সময় পাকিস্তানকে ট্রাম্প মিথ্যা-প্রতারণাপূর্ণ দেশ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন। তবে ইমরান খান ক্ষমতায় এসে বলেন, মার্কিন নেতৃত্বাধীন ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে’ পাকিস্তানকে তুলনামূলক বেশি মূল্য দিতে হয়েছে। পরে ইমরান পাক-মার্কিন সম্পর্ককে উভয়পক্ষ লাভবান হিসেবে বর্ণনা করেন। এমন পরিস্থিতিতে ইমরান-ট্রাম্প বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
গত শনিবার ইমরান খান যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছার পর হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পাক-মার্কিন সম্পর্ক মেরামতে পাকিস্তানের জন্য দরজা খোলা রয়েছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র চাইছে, আফগানিস্তান থেকে তাদের সেনাদের তুলে নিয়ে সব হিসাব চুকিয়ে ফেলতে। আবার যুক্তরাষ্ট্র চায়, পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সক্রিয় জঙ্গিদের দমনে পাকিস্তান সরকার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। এ বৈঠকে পাকিস্তানের কারাগারে আটক চিকিৎসক শাকিল আফ্রিদির মুক্তির বিষয়েও কথা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার মুক্তির জন্য ইমরান খানের প্রতি অনুরোধ জানাতে পারেন ট্রাম্প।