বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৩৯ অপরাহ্ন

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ড- কী হয়েছিল হত্যার আগে

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ড- কী হয়েছিল হত্যার আগে

স্বদেশ ডেস্ক : কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পের ঘরে ঢুকেই রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করেছে ৫-৬ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী। গুলি চালানোর আগে মুহিবুল্লাহর সঙ্গে ঘরে বসে কথা বলেছিল তারা। যাওয়ার সময় পাঁচ রাউন্ড গুলি চালায়। এরমধ্যে তিন রাউন্ড গুলি বুকে লাগে মুহিবুল্লাহর।

নিজেদের দ্বন্দ্বের কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বরত ১৪ নম্বর ‘এপিবিএন’র পুলিশ সুপার নাইমুল হক।

পরিবারের বরাত দিয়ে ‘এপিবিএন’র পুলিশ সুপার নাইমুল হক বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা মুহিবুল্লাহকে হত্যা করেছে। সন্ত্রাসীরা মুহিবুল্লাহর ঘরে ঢুকে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলেছে। তারা ৫-৬ জন ছিল। যাওয়ার সময় গুলি চালায়। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সদর হাসপাতাল মর্গে তার লাশের ময়নাতদন্ত হবে।

গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়া কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় ইস্ট-ওয়েস্ট ১ নম্বর ব্লকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মুহিবুল্লাহ (৫০) মিয়ানমারের রাখাইনের মংডু এলাকার লংডাছড়া গ্রামের মৌলভি ফজল আহমদের ছেলে।

২০১৭ সালের ২৫শে আগস্ট মিয়ানমার সেনাদের হাত থেকে প্রাণে বাঁচতে মংডু টাউনশিপের সিকদারপাড়া গ্রাম থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন তিনি। আশ্রয় নেন কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে। রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ)-এর চেয়ারম্যান ছিলেন মুহিবুল্লাহ।

এআরএসপিএইচ-এর সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ উল্লাহ বলেন, আমাদের নেতাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। তাকে হত্যা করায় আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877