স্বদেশ ডেস্ক: বাড়িতে আগুন লাগার পর বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধ করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। নিহত শিক্ষকের নাম নূর আলম (৪০)। তিনি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। শুক্রবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের গাঙ্গাইল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ছড়িয়ে পড়া আগুন নেভাতে গিয়ে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৭জন আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গাঙ্গাইল গ্রামের স্কুল শিক্ষক নূর আলমের চাচা লাল মিয়ার বসতঘরে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে মুহূর্তেই লেলিহান শিখা হয়ে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে কিশোরগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনলেও চারটি ঘর এর আগেই পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
নিহত নূর আলম গাঙ্গাইল গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে এবং স্থানীয় পাঠানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চাচার ঘরে আগুন লাগায় বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধ করতে গেলে আগুনে বিদ্যুতের গলে যাওয়া তারে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, লাল মিয়ার বসতঘরে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার থাকায় তা বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। আগুন নেভাতে গিয়ে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৭জন আহত হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে আগুনে লাল মিয়ার চারটি ঘর পুড়ে যায়।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্কুল শিক্ষক নূর আলমের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে শোকাহত মানুষ তার বাড়িতে ভীড় জমায়। শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। শনিবার সকাল ১১টায় বাড়ির সামনে নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।