স্বদেশ ডেস্ক:
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিতে পারে বিএনপি। দলটির নীতিনির্ধারণী ফোরামের একাধিক সদস্য এ কথা জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণের ধারাবাহিকতায় এ উপনির্বাচনেও বিএনপি বা জোটের পক্ষ থেকে প্রার্থী দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৩ আসনে ২০ দলীয় জোটের শরিক পিপিবির চেয়ারম্যান রিটা রহমানকে ধানের শীষ প্রতীক দিয়েছিল বিএনপি। রিটা মরহুম রাজনীতিক মশিউর রহমান যাদু মিয়ার মেয়ে। এবার এ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি তাদের দলীয় কোনো নেতা কিংবা রিটা রহমান যে কাউকেই মনোনয়ন দিতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিএনপি। সে সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে পরিবর্তন হয়েছে। আগামীতে স্থানীয় পর্যায়ের সব নির্বাচনে প্রতীক ছাড়া অংশ নেবে দলটি। এর বাইরে সংশ্লিষ্ট আসন পর্যালোচনা করে উপনির্র্বাচনগুলোতেও দলীয় বা জোটের প্রার্থী দেয়া হতে পারে।
এরশাদের মৃত্যুতে রংপুর-৩ আসনটি গত মঙ্গলবার শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে সংসদ সচিবালয়। ফলে আগামী ১১ অক্টোবরের মধ্যে ওই আসনে উপনির্বাচন হবে। গত নির্বাচনে এ আসনের সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট হয়েছিল। এরশাদ মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে দলীয় লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে এক লাখ ৪২ হাজার ৯২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রিটা রহমান পেয়েছিলেন ৫৪ হাজারের মতো ভোট। ভোট পাওয়ার এ সংখ্যা নিয়ে বিএনপি জোটের অন্য সব প্রার্থীর মতো রিটা রহমানেরও প্রশ্ন রয়েছে।
রিটা রহমান নয়া দিগন্তকে বলেন, রংপুর আমারই এলাকা। রংপুরের উন্নয়নে আমি সব সময়ই কাজ করে যেতে চাই। বিএনপি বা জোট নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিলে আমি নির্বাচন করতে আগ্রহী। তিনি বলেন, বিগত ৪০ বছরে রংপুরের উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নয়ন হয়নি। গ্যাস নেই, রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ও অবহেলিত। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে তার একটি উন্নয়ন রূপকল্প রয়েছে বলে জানান রিটা রহমান।