সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মেয়ের ভর্তির খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন মা, পিটিয়ে মারা হলো ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে

মেয়ের ভর্তির খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন মা, পিটিয়ে মারা হলো ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে

স্বদেশ ডেস্ক:

রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে হত্যার শিকার নারীর পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহতের নাম তাসলিমা বেগম রেনু (৪০)। তিনি সন্তানকে ভর্তি করানোর জন্য খোঁজ নিতে বাড্ডার ওই প্রাইমারি স্কুলে গিয়েছিলেন।

গতকাল শনিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে উত্তর বাড্ডার কাঁচাবাজারের সামনের প্রাইমারি স্কুলের গেটে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হন তাসলিমা বেগম। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় ও পুলিশসূত্রে জানা যায়, উত্তর বাড্ডায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তিনজন বোরকা পরা নারীকে সন্দেহজনক অবস্থায় ঘোরাঘুরি করতে দেখে এলাকাবাসী। পরে ছেলেধরা সন্দেহে এক নারীকে ধরে গণপিটুনি দেয় জনতা। এ সময় অন্য দুই নারী পালিয়ে যান।

ঢামেকে তাসলিমার লাশ নিয়ে যাওয়ার পর সনাক্ত করেন তার ভাগনে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু। দৈনিক আমাদের সময় থেকে তার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করেন তিনি।

টিটু জানান, সন্তানকে ভর্তি করাবেন বলে উত্তর বাড্ডার ওই স্কুলে গিয়েছিলেন তার ছোট খালা। সেখানে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে এলাকার লোকজন।

তিনি বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসন থাকতে কীভাবে একজন নিরপরাধ মানুষকে খুন হতে হয়?’ এ ঘটনার ন্যায্য বিচার দাবি করেন তিনি।

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন গাজী বলেন, নিহতের ভাগনে তার লাশ সনাক্ত করেছেন। এ ঘটনার একটি মামলা থানায় প্রক্রীয়াধীন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঢামেকে রয়েছে।

জানা গেছে, মহাখালীর ৩৩/৩ জিপি ওর্য়ালেস গেটের একটি ভাড়া বাসায় দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন তাসলিমা বেগম রেনু। তার স্বামীর নাম তসলিম হোসেন। গত দুই বছর আগে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এর পর থেকেই মহাখালীতে বসবাস করতে থাকেন রেনু।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877