স্বদেশ ডেস্ক:
পারস্য উপসাগরে অবৈধ ও অস্থিতিশীল আচরণের মধ্য দিয়ে বিপজ্জনক পথ বেছে নিচ্ছে ইরান, এমন মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট। শুক্রবার হরমুজ প্রণালিতে তেলবাহী একটি ব্রিটিশ ট্যাংকার আটক করলে তেহরান সম্পর্কে এমন বক্তব্য লন্ডনের।
যদিও যুক্তরাজ্যের দাবি- এ নিয়ে দুটি ব্রিটিশ ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরান; কিন্তু তেহরান প্রথম ট্যাংকার জব্দ করার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে। বিবিসি।
শুক্রবার রাতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়, হরমুজ প্রণালিতে আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে ব্রিটিশ ট্যাংকারটি আটক করা হয়েছে।
ইরানের হরমুজগানের বন্দর ও সামুদ্রিক যান চলাচলবিষয়ক সংস্থার অনুরোধে ‘স্টেনা ইমরো’ নামের ট্যাংকারটি আটক করা হয়েছে। ট্যাংকারটি উপকূলে আনা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া চলছে। এটিতে তল্লাশি চালানো হবে। হরমুজ প্রণালিতে ইরানি ড্রোন ধ্বংসের মার্কিন দাবি প্রত্যাখ্যানের কিছু সময় পরই ব্রিটিশ তেল ট্যাংকার আটকের খবর দেয় তেহরান।
এর আগে ৪ জুলাই যুক্তরাজ্য নিয়ন্ত্রিত জিব্রাল্টার প্রণালি থেকে ইরানি তেলবাহী সুপার ট্যাংকার গ্রেস-ওয়ান আটক করেন ব্রিটিশ মেরিন সেনারা। জাহাজের সব ক্রুকে মুক্তি দিয়েছে জিব্রাল্টার কর্তৃপক্ষ। তবে জাহাজটির বিষয়ে এখনো তদন্ত চালাচ্ছে তারা।
বিষয়টি নিয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফের সঙ্গে কথা বলেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট। ফোনালাপে ব্রিটিশ মন্ত্রী বলেন, ‘ট্যাংকারের তেল কোত্থেকে এসেছে, তা নিয়ে যুক্তরাজ্যের কোনো মাথাব্যথা নেই। বরং আমাদের চিন্তার বিষয় হচ্ছে- এই তেল কোথায় যাচ্ছে। এটি সিরিয়ায় যাবে না, এমন গ্যারান্টি পেলেই ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ ট্যাংকারটি ছেড়ে দেবে।’
এদিকে ইরান যে ট্যাংকারটি আটক করেছে, এতে ২৩ ক্রু ছিলেন। এদের মধ্যে ১৮ জনই ভারতীয়। এর পর জেরেমি হান্ট বলেন, নৌচলাচলের স্বাধীনতা অবশ্যই থাকতে হবে। বিষয়টি সহসা সমাধান না হলে ‘কঠিন পরিণতি’ হবে বলেও হুশিয়ারি দেন তিনি।
তবে হান্ট বলেন, ‘আমরা কোনো সামরিক পথে হাঁটতে চাচ্ছি না। আমরা কূটনৈতিকভাবেই বিষয়টির সমাধান খুঁজছি। মে ও জুন মাসে উপসাগরীয় অঞ্চলে তেলবাহী ছয়টি ট্যাংকারে হামলার ঘটনা ঘটে।
এসব ঘটনার জন্য ইরানকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র; যদিও তেহরান সব সময় এ অভিযোগ নাকচ করে আসছে। এ বিষয় নিয়ে কথার লড়াই চলছে দুপক্ষের মধ্যে।