শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
শ্যালকের কারণে ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী পলক জনসমর্থনহীন সরকার জনগণের আওয়াজ নির্মমভাবে দমন করে : রিজভী নেতানিয়াহুসহ ইসরাইলি মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করবে আইসিসি! গোটা দেশকেই কারাগারে পরিণত করেছে সরকার : মির্জা ফখরুল চুয়াডাঙ্গায় হিট অ্যালার্ট জারি ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন শুরু পাবনায় ১২ ট্রাক ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ২৩ পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ইরানি প্রেসিডেন্ট ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, সপ্তাহান্তে ইসরাইলে তেহরানের আক্রমণের প্রতিশোধের কথা ভেবে ইরানের রিভ্যোলিউশানারি গার্ডসের একজন ঊর্ধ্বতন জেনারেল ইসরাইলকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, তারা যদি ইরানের পরমাণু ক্ষেত্রে আক্রমণ করে তা হলে ইরান ইসরাইলের ‘পারমানবিক স্থাপনাগুলিকে’ লক্ষ্য করে আঘাত হানবে। ইরানের ওই হামলার বিরুদ্ধে ইসরাইল পাল্টা জবাব দেবার সংকল্প ব্যক্ত করে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন। গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ৭ অক্টোবর আক্রমণ চালানোর সাথে সাথে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর থেকে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার রাতে ইসরাইলের ওপর তেহরানের প্রথম সরাসরি আক্রমণ ছিল ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলার প্রতিশোধ। ওই হামলায় ইরানে রিভ্যোলিউশানারি গার্ড কোরের দু’জন জেনারেলসহ সাতজন সদস্য প্রাণ হারান। ইরানের আক্রমণের প্রতিশোধ কোথায় কিংবা কবে নেয়া হবে সে সম্পর্কে ইসরাইলি কর্মকর্তারা কিছু জানাননি। তবে এই গার্ড বাহিনীর পারমাণবিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান আহমাদ হাঘতালাব বলেন, ইরান পরমাণু ক্ষেত্রের ্পর যেকোনো আক্রমণের পাল্টা জবাব দেবে। ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ হাঘতালাবকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, ‘এই ইহুদিবাদী সরকার [ইসরাইল] যদি আমাদের পরমাণু কেন্দ্র ও স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায় তারা নিশ্চিতভাবেই আমাদের প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হবে। পাল্টা আক্রমণে উন্নত অস্ত্রের সাহায্যে ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে অভিযান চালানো হবে।’ ইরানের শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘নিজেকে রক্ষা করার অধিকার ইসরাইলের আছে।’ আর তার পর পরই ইরানের তরফ থেকে এই সতর্কবার্তা এলো। হাঘতালাব বলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরাইলি আক্রমণের হুমকির কারণে তেহরানকে ‘তার ঘোষিত পারমাণবিক নীতি ও বিবেচনা থেকে সরে এসে তা নতুন করে ঠিক করতে হতে পারে।’ তিনি অবশ্য বিস্তারিত আর কিছু বলেননি। এই ইসলামি প্রজাতন্ত্রটি বরাবর বলে এসেছে যে তাদের পরমাণু কর্মসূচি হচ্ছে শান্তিপূর্ণ এবং পারমাণবিক বোমা তৈরির কথা অস্বীকার করেছে। তারা অবশ্য তাদের জাত-শত্রু ইসরাইলের বিরুদ্ধে তাদের স্থাপনাগুলোর ওপর নাশকতামূলক আক্রমণ চালানোর জন্য এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে পরমাণু বিজ্ঞানীদের হত্যা করার অভিযোগ এনেছে। ২০১৯ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেই বলেছিলেন, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারত। কিন্তু তা করবে না। কারণ ইসলামে এ জাতীয় অস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমের অন্যান্য কর্মকর্তা বলেছেন যে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির অব্যাহত সম্প্রসারণে মনে হয় যে তাদের সামরিক উদ্দেশ্য আছে। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি খর্ব করার লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত এক ঐতিহাসিক চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র এক তরফাভাবে বেরিয়ে আসে। তখন থেকেই ইরান ২০১৫ সালের চুক্তিতে দেয়া শর্ত অনুযায়ী তার প্রতিশ্রুতি থেকে ক্রমশই সরে এসেছে। ওই চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার কুটনৈতিক প্রচেষ্টা দীর্ঘদিন ধরে থমকে আছে এবং কিছু নিষেধাজ্ঞা আবার আরোপ করা হয়েছে। হাঘতালাবের মতে, ইসরাইলের পরমাণু কেন্দ্রগুলোকে ইরান চিহ্নিত করেছে এবং ‘সকল লক্ষ্যস্থল সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য’ তাদের কাছে আছে। ইসরাইলের পরমাণু অস্ত্র রয়েছে বলে ব্যাপকভাবে তা সকলেরই জানা। কিন্তু ইসরাইল কখনো তা স্বীকার করেনি। সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা
৯৭ শতাংশ আফগান চলে যাবে দারিদ্র্যসীমার নিচে

৯৭ শতাংশ আফগান চলে যাবে দারিদ্র্যসীমার নিচে

স্বদেশ ডেস্ক:

আফগানিস্তানের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটকে এখনই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা না হলে অচিরেই মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯৭ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যেতে পারে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ এই হুঁশিয়ারি দিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

প্রকাশিত এক রিপোর্টে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) জানিয়েছে, আফগানিস্তানের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) দুর্নীতির কারণে দেশটিতে দারিদ্র্যের হার ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। আফগান ভূখণ্ডের অর্ধেক জনগোষ্ঠীরই এখন মানবিক সহায়তা প্রয়োজন বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

আফগানিস্তানে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল দারদারি আলজাজিরাকে জানিয়েছেন, ‘বাজেট নিয়ে সমস্যা রয়েছে, রিজার্ভ নিয়ে সমস্যা রয়েছে। দেশের বাইরে সংরক্ষিত ৯০০ কোটি মার্কিন ডলারের রিজার্ভ যদি পুরোপুরি আটকে রাখা হয়, তাহলে আফগানিস্তানে বাণিজ্য নিয়েও সমস্যা সৃষ্টি হবে। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক; উভয় বাণিজ্যেই সমস্যা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোনো দেশে এই (আফগানিস্তানের মতো) পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফসহ দ্বিপাক্ষিক ও বহু-পাক্ষিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো জাতিসংঘের সঙ্গে সমন্বয় করে একত্রিত হয় এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের জন্য একটি রূপরেখার প্রস্তাব করে। কিন্তু আফগানিস্তানে এমন কিছু হবে না।’

তবে আফগানিস্তানের এই পরিস্থিতি নতুন নয়। গত মাসে দ্রুততার সঙ্গে তালেবান পুরো দেশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগে থেকেই আফগানিস্তান ব্যাপকভাবে বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল ছিল। দেশটির মোট জিডিপিতে বিদেশি সাহায্যের অবদান এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি। এই পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে যুক্ত থাকা কর্মীদের কাজের সুযোগ অব্যাহত রাখতে তালেবানের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে জাতিসংঘ।

আল দারদারি বলছেন, ‘সুশীল সমাজ ও স্থানীয় কমিউনিটি সংস্থাগুলোকে তাদের কাজ চালিয়ে যেতে দিতে হবে। তাদেরকে নিজেদের কাজ বাস্তবায়নের সুযোগ দিতে হবে। আমরা কিছু চাই না। শুধু তাদের কাজে বাধা দিবেন না।’

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে আফগানিস্তানে মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস। ফলে দেশটিতে জরুরি সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি দেশটির মৌলিক সেবাসমূহ ও কর্মকাণ্ড পুরোপুরি ভেঙে পড়ার হুমকিতে রয়েছে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

সেসময় এক বিবৃতিতে গুতেরেস বলেন, অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন আফগান নারী, শিশু ও পুরুষদের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা প্রয়োজন। এসময় তিনি আফগান নাগরিকদের জন্য অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদানেরও অঙ্গীকার করেন।

গুতেরেস আরও বলেন, ‘আফগানিস্তানের মানুষের এই প্রয়োজনের সময়ে প্রয়োজনীয় সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসতে আমি জাতিসংঘের সব সদস্য দেশের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। দ্রুত ও সহজতর উপায়ে আফগানদের এই সহায়তা দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।’

এদিকে বিমানবাহিনীর বিমানে আফগানিস্তানে ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে পাকিস্তান। বিমানটি বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে পৌঁছায়। রেডিও পাকিস্তান জানিয়েছে, আফগানিস্তানে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মনসুর খান ত্রাণসামগ্রী গ্রহণ করেন।

ইসলামাবাদ থেকে পাঠানো ত্রাণসামগ্রী গ্রহণ করে রাষ্ট্রদূত মনসুর খান জানিয়েছেন, আগামীতে আফগান জনগণের জন্য ত্রাণ ও মানবিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। শুক্র ও শনিবার আরও দু’টি বিমানে কান্দাহার এবং খোস্ত শহরে ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হবে।

পাকিস্তানের জাতীয় দৈনিক ডনের প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়ে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে পাঠানো ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১০ টন আটা, দেড় টন ঘি এবং বিপুল পরিমাণ ওষুধ। সীমান্ত দিয়েও ত্রাণ আসবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত।

গত মাসে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বিসলি রাষ্ট্রক্ষমতার পালাবদলে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়া আফগানিস্তানের জনগণের জন্য আকাশপথে একটি ‘মানবিক সেতু’ স্থাপনে পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, সপ্তাহান্তে ইসরাইলে তেহরানের আক্রমণের প্রতিশোধের কথা ভেবে ইরানের রিভ্যোলিউশানারি গার্ডসের একজন ঊর্ধ্বতন জেনারেল ইসরাইলকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, তারা যদি ইরানের পরমাণু ক্ষেত্রে আক্রমণ করে তা হলে ইরান ইসরাইলের ‘পারমানবিক স্থাপনাগুলিকে’ লক্ষ্য করে আঘাত হানবে। ইরানের ওই হামলার বিরুদ্ধে ইসরাইল পাল্টা জবাব দেবার সংকল্প ব্যক্ত করে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন। গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ৭ অক্টোবর আক্রমণ চালানোর সাথে সাথে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর থেকে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার রাতে ইসরাইলের ওপর তেহরানের প্রথম সরাসরি আক্রমণ ছিল ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলার প্রতিশোধ। ওই হামলায় ইরানে রিভ্যোলিউশানারি গার্ড কোরের দু’জন জেনারেলসহ সাতজন সদস্য প্রাণ হারান। ইরানের আক্রমণের প্রতিশোধ কোথায় কিংবা কবে নেয়া হবে সে সম্পর্কে ইসরাইলি কর্মকর্তারা কিছু জানাননি। তবে এই গার্ড বাহিনীর পারমাণবিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান আহমাদ হাঘতালাব বলেন, ইরান পরমাণু ক্ষেত্রের ্পর যেকোনো আক্রমণের পাল্টা জবাব দেবে। ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ হাঘতালাবকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, ‘এই ইহুদিবাদী সরকার [ইসরাইল] যদি আমাদের পরমাণু কেন্দ্র ও স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায় তারা নিশ্চিতভাবেই আমাদের প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হবে। পাল্টা আক্রমণে উন্নত অস্ত্রের সাহায্যে ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে অভিযান চালানো হবে।’ ইরানের শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘নিজেকে রক্ষা করার অধিকার ইসরাইলের আছে।’ আর তার পর পরই ইরানের তরফ থেকে এই সতর্কবার্তা এলো। হাঘতালাব বলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরাইলি আক্রমণের হুমকির কারণে তেহরানকে ‘তার ঘোষিত পারমাণবিক নীতি ও বিবেচনা থেকে সরে এসে তা নতুন করে ঠিক করতে হতে পারে।’ তিনি অবশ্য বিস্তারিত আর কিছু বলেননি। এই ইসলামি প্রজাতন্ত্রটি বরাবর বলে এসেছে যে তাদের পরমাণু কর্মসূচি হচ্ছে শান্তিপূর্ণ এবং পারমাণবিক বোমা তৈরির কথা অস্বীকার করেছে। তারা অবশ্য তাদের জাত-শত্রু ইসরাইলের বিরুদ্ধে তাদের স্থাপনাগুলোর ওপর নাশকতামূলক আক্রমণ চালানোর জন্য এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে পরমাণু বিজ্ঞানীদের হত্যা করার অভিযোগ এনেছে। ২০১৯ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেই বলেছিলেন, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারত। কিন্তু তা করবে না। কারণ ইসলামে এ জাতীয় অস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমের অন্যান্য কর্মকর্তা বলেছেন যে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির অব্যাহত সম্প্রসারণে মনে হয় যে তাদের সামরিক উদ্দেশ্য আছে। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি খর্ব করার লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত এক ঐতিহাসিক চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র এক তরফাভাবে বেরিয়ে আসে। তখন থেকেই ইরান ২০১৫ সালের চুক্তিতে দেয়া শর্ত অনুযায়ী তার প্রতিশ্রুতি থেকে ক্রমশই সরে এসেছে। ওই চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার কুটনৈতিক প্রচেষ্টা দীর্ঘদিন ধরে থমকে আছে এবং কিছু নিষেধাজ্ঞা আবার আরোপ করা হয়েছে। হাঘতালাবের মতে, ইসরাইলের পরমাণু কেন্দ্রগুলোকে ইরান চিহ্নিত করেছে এবং ‘সকল লক্ষ্যস্থল সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য’ তাদের কাছে আছে। ইসরাইলের পরমাণু অস্ত্র রয়েছে বলে ব্যাপকভাবে তা সকলেরই জানা। কিন্তু ইসরাইল কখনো তা স্বীকার করেনি। সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877