শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন

ইজিবাইক থেকে নামিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা

ইজিবাইক থেকে নামিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা

স্বদেশ ডেস্ক: মাদারীপুরে খুন হওয়া দশম শ্রেণির মাদ্রাসাছাত্রী দীপ্তি আক্তারকে এক ইজিবাইক চালক তার ইজিবাইক থেকে নামিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেন বলে জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। পরে লাশটি গুম করতে একটি পরিত্যক্ত পুকুরে ইট বেঁধে ডুবিয়ে রাখা হয়।

আজ শনিবার সকালে র‍্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্প আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান কমান্ডিং অফিসার (সিও) আতিকা ইসলাম।

এর আগে আজ ভোর ৫টার দিকে সদর উপজেলার পূর্ব খাগদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে দীপ্তি হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাজ্জাদ হোসেন খানকে (৪০) গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। সাজ্জাদ পেশায় একজন ইজিবাইক চালক।

গ্রেপ্তার সাজ্জাদ হোসেন খানের স্বীকারোক্তি উল্লেখ করে দীপ্তি হত্যার ঘটনা বর্ণনা করেন আতিকা ইসলাম। তিনি জানান, ১৩ জুলাই অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার ও পরে মাদ্রাসাছাত্রী দীপ্তির লাশ হিসেবে পরিচয় পাওয়ার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে মাদারীপুর র‌্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা। লাশ উদ্ধার হওয়া পরিত্যক্ত পুকুরে ১৮ জুলাই আবার তল্লাশি করে র‌্যাব। সেখান থেকে একটি ব্যাগে দীপ্তির পোশাক পাওয়া যায়। এই সূত্র ধরে র‌্যাব ব্যাপক তদন্ত শুরু করে। তাদের তদন্তে ১৯৯২ সালে শিশু হত্যার অপরাধে যাবজ্জীবন কারাভোগ করে ২০১১ সালে মুক্তি পাওয়া ইজিবাইক চালক মো. সাজ্জাদ হোসেন খানের জড়িত থাকার বিষয়টি সন্দেহ হয়। তাই সাজ্জাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সাজ্জাদ র‌্যাবের কাছে দীপ্তিকে ধর্ষণ ও হত্যা করার কথা স্বীকার করেন।

আতিকা ইসলাম আরও  জানান, গত ১১ জুলাই বোনের বাসা থেকে শহরের চরমুগরীয়ায় চাচার বাসায় যাওয়ার জন্য ইটেরপোল এলাকা থেকে একটি ইজিবাইকে ওঠে দীপ্তি। ইজিবাইকে আর কোনো যাত্রী না থাকায় এবং প্রচণ্ড বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ইজিবাইক চালক দীপ্তিকে জোর করে নিজের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে দীপ্তিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে লাশটি গুম করার জন্য বিদ্যুতের তার দিয়ে কয়েকটি ইটসহ দীপ্তির পোশাকবিহীন লাশটি বেঁধে পরিত্যক্ত পুকুরে ফেলে দেন সাজ্জাদ। দুই দিন পর লাশটি ভেসে উঠলে দীপ্তি হত্যার ঘটনাটি সামনে চলে আসে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ জুলাই মাদারীপুর শহরের পূর্ব খাগদি এলাকার একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে নগ্ন ও বিকৃত অবস্থায় এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। পরের দিন দীপ্তির বাবা হাসপাতালে গিয়ে লাশটি তার মেয়ের বলে শনাক্ত করেন এবং অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মাদারীপুর সদর থানায় একটি মামলা করেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877