বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ০১:০৫ পূর্বাহ্ন

সেই পাইলট নওশাদ আর নেই

স্বদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২১

স্বদেশ ডেস্ক:

ভারতের নাগপুর বিমানবন্দরে ১২৪ জন যাত্রী নিয়ে জরুরি অবতরণ করা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউম মারা গেছেন। আজ রোববার নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

গত শুক্রবার সকালে ওমানের মাস্কাট থেকে বিজি-০২২ ফ্লাইটটি নিয়ে ঢাকা আসার পথে ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় ‘হার্ট অ্যাটাক’ করেছিলেন ক্যাপ্টেন কাইউম।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এমডি ড. আবু সালেহ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল জানান, সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে দ্রুত ক্যাপ্টেনের মরদেহ দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এর আগে গত শনিবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ কর্মকর্তা তাহেরা খন্দকার বলেছিলেন, আকাশে বসে অসুস্থ হয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গেই পাইলট কাইউম কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। একই সময়ে তিনি কো-পাইলটের কাছে বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন। কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বিমানটিকে তার নিকটস্থ নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলটই বিমানটিকে অবতরণ করান। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজটির ১২৪ জন যাত্রীর প্রত্যেকেই নিরাপদে ছিলেন।

জরুরি অবতরণের পর পাইলট নওশাদকে নাগপুরের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার এনজিওগ্রাম করা হয় বলেও জানান তাহেরা খন্দকার।

বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান জানান, তিনি (নওশাদ আতাউল কাইউম) একজন দক্ষ পাইলট। কার্ডিয়াক এরেস্ট হওয়া সত্ত্বে তিনি দক্ষ হাতে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। তার প্রেসার হাই হয়ে যাওয়ায় মাথায় রক্তক্ষরণ হয়েছে।

বিমান সূত্র জানায়, শনিবার রাতেই কাইয়ুমের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। রোববার চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিমানের বিজি-২২ ফ্লাইটটি ওমান যায়। সেখান থেকে স্থানীয় সময় রাত ২টা ৩০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসার কথা থাকলেও ফ্লাইটটি ভোর সাড়ে ৬টায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। তবে পাইলটের অসুস্থতাজনিত কারণে ঢাকার দিকে না এসে ভারতের স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় ফ্লাইটটি নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে।

হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, আকাশে থাকা অবস্থায় পাইলট নওশাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তার সহকারী জরুরি ভিত্তিতে কলকাতা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে বিমানটিকে নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ