স্বদেশ ডেস্ক: পদ্মার পানি বৃদ্ধিতে ফরিদপুর সদরসহ জেলার চারটি উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিক্রীরচর, নর্থচ্যানেল, আলীয়াবাদ, চরমাধবদিয়া ও ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা। দুর্ভোগে পড়েছে এসব এলাকার হাজার হাজার মানুষ। প্রতি মিনিটে মিনিটে বাড়ছে পদ্মা নদীর পানি। পদ্মা নদীর পানি গোয়ালন্দ পয়েন্টে বর্তমানে বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গোয়ালন্দ পয়েন্টের গেজ রিডার ইদ্রিস আলী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় এই পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি আরও ২০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ১৯ জুলাই ওই পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার (৯ দশমিক ১৯) ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিক্রীরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু জানান, তার ইউনিয়নের প্রায় ৮০ ভাগ এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। নতুন করে পূর্বডাঙ্গী, মুন্সিডাঙ্গী ও ব্যাপারী ডাঙ্গীতে পানি ঢুকে পড়ায় হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষেতের ফসল ও গবাদিপশু নিয়ে মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে।
সদর উপজেলার আলীয়াবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম ওমর ফারুক ডাবলু জানান, তার ইউনিয়নের পদ্মা নদী সংলগ্ন এলাকায় দ্রুত গতিতে পানি ঢুকে পড়ায় ইউনিয়নের সাদীপুর, গদাধরডাঙ্গী ও আলিয়াবাদ এলাকায় প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, তার ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বাঘেরটিলার প্রধান সড়কটি পানির তোরে ভেসে যাওয়ায় ওই এলাকার প্রতিটি বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে কয়েকশ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, তার ইউনিয়নের দুর্গাপুর, জমাদ্দারডাঙ্গী ও বগেরটিলা এলাকায় পানি ঢুকে পরায় প্রায় ৫০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, শুক্রবার তার ইউনিয়নে ৬ ইঞ্চি পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েক শত বাড়িঘর। মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিচ্ছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ইউনিয়নের কাইমদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামে কালুর বাজার থেকে পান্নুর দোকান পর্যন্ত সোয়া কিলোমিটার দৈর্ঘের পাকা সড়কে এক কিলোমিটার অংশ তলিয়ে গেছে। এছাড়া মনসুরাবাদ এলাকায় মনসুরাবদ মোড় থেকে রিয়াজউদ্দিনের বাড়ি পর্যন্ত ইট বিছানো সড়কটির আধাকিলোমিটার তলিয়ে গেছে।