স্বদেশ ডেস্ক:
আফগানস্তিানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলায় রোববার থেকে মোট ১২ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে তালেবানের এক নেতা এই তথ্য জানান।
নাম প্রকাশে অস্বীকার করে ওই নেতা একইসাথে ভ্রমণের যথাযথ অনুমতিপত্র না থাকলে বিমানবন্দরে ভিড় করা জনতাকে বাড়ি ফিরে যেতে আহ্বান জানিয়েছেন।
ওই নেতা জানান, ‘আমরা বিমানবন্দরে কাউকে আঘাত করতে চাই না।’
রোববার তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর বিদেশী নাগরিকদের সাথে সাথে বিপুল আফগান নাগরিক দেশ ছাড়ার জন্য কাবুল বিমানব্ন্দরে জড়ো হয়। কাবুল ছাড়তে মরিয়া যাত্রীদের বিমানে ওঠার প্রতিযোগিতায় সৃষ্ট বিশৃঙ্খলায় পদদলিত বা গুলিবিদ্ধ হয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয় বলে ওই নেতা জানান।
দীর্ঘ দুই দশক আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের পর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাতারের দোহায় এক শান্তিচুক্তির মাধ্যমে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার করতে সম্মত হয় যুক্তরাষ্ট্র। এর বিপরীতে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অংশ নিতে তালেবান সম্মত হয়।
এই বছরের মে মাসে সৈন্য প্রত্যাহারের কথা থাকলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এপ্রিলে এক ঘোষণায় ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সৈন্য প্রত্যাহারের কথা জানান। পরে জুলাই সময়সীমা আরো কমিয়ে এনে ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তিনি।
মার্কিনিদের সাথে চুক্তি অনুসারে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারের সাথে তালেবানের সমঝোতায় আসার কথা থাকলে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি দুই পক্ষ। সমঝোতায় না পৌঁছানোর জেরে তালেবান আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণে অভিযান শুরু করে।
৬ আগস্ট প্রথম প্রাদেশিক রাজধানী হিসেবে দক্ষিণাঞ্চলীয় নিমরোজ প্রদেশের রাজধানী যারানজ দখল করে তারা। যারানজ নিয়ন্ত্রণে নেয়ার ১০ দিনের মাথায় রোববার কাবুল দখল করে তালেবান যোদ্ধারা।
সূত্র : আলজাজিরা ও বিবিসি