বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
পর্যটক সামলাতে দেয়াল তুলছে জাপান ঢাবিতে গোলাম মাওলা রনির ওপর হামলা টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র, একাদশে যারা আজিজ আহমেদের ওপর মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ হয়নি: ওবায়দুল কাদের অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা অব্যাহত থাকবে কৃষি খাতে ফলন বাড়াতে অস্ট্রেলিয়ার প্রযুক্তি সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী ভিকারুননিসায় ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল, অনিয়ম তদন্তের নির্দেশ ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে থাকতে পারে : সিইসি সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা যে বার্তা দিচ্ছে শিয়ালের টানাহেঁচড়া দেখে মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেল এক নারী ও দুই শিশুর লাশ
উত্তাল শোবিজ

উত্তাল শোবিজ

স্বদেশ ডেস্ক:

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গ্রেপ্তার হালের আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। তিনি এখন আছেন কারাগারে। অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আগেই তাকে নিয়ে বিস্তর আলোচনা, নিন্দার ঝড়। তার জীবনযাপন নিয়ে মন্তব্যেরও শেষ নেই। যা নিয়ে তার সহকর্মীরা এত দিন মুখ না খুললেও এখন পক্ষে দাঁড়িয়েছেন অনেকে। ফলে পরীমনি ইস্যুতে উত্তাল শোবিজ।

সুচন্দা : পরীমনির সঙ্গে পরিচয় না থাকলেও যতটুকু বুঝতে পেরেছি, সে ছিল অভিভাবকহীন। তার একটু কেয়ার দরকার ছিল, পরামর্শ দরকার ছিল। যারা তাকে বিপথে নিয়ে গেছে, তাদেরই খুঁজে বের করা উচিত। তার পাশে চলচ্চিত্র পরিবারের সবারই থাকা উচিত।

শাকিব খান : পরীমনির জীবন ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় যেভাবে তাকে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে, এটা সত্যি দুঃখজনক। যারা পরীমনিকে বিপথে নিয়ে গেছে, তাদেরও খুঁজে বের করা উচিত। পরীমনি ৩০টির বেশি সিনেমার সঙ্গে জড়িত বলে জানতে পেরেছি। তার হাতে আছে আরও কয়েকটি সিনেমা। কিন্তু যারা বছরের পর বছর একটি সিনেমাতেও কাজ না করে দিনের পর দিন শিল্পী সাইনবোর্ড ব্যবহার করে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে, তাদের আয়ের উৎসও খুঁজে বের করা উচিত।

আসিফ আকবর : মফস্বলের একটা মেয়ে এত উঁচুতে পৌঁছানোর পেছনে অবশ্যই যোগ্যতা ছিল। এই মেয়েটা এতটা পথ কাদের শেল্টারে এসেছে, এই রহস্য উন্মোচিত হবে না কখনো। মেয়েটা অবশ্যই ভালো অভিনেত্রী, মেয়েটার দেশকে আরও দেওয়ার ছিল। দেশ নেয়নি, হয়তো সে মুক্তি পেয়ে আন্তর্জাতিক তারকা হয়ে যাবে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই দাবি জানাই, পরীমনির মুক্তি চাই। পরীমনি ভয়ঙ্কর অপরাধী নয়, অভিভাবকহীনতার শিকার একটা লক্ষ্যহীন নৌকামাত্র।

রাফিয়াত রশিদ মিথিলা : পরীমনির ক্ষেত্রে সমস্ত মতামত দুইভাগে বিভক্ত, এটা সব ক্ষেত্রেই হয়। ন্যায়, অন্যায় যা কিছুই ঘটে থাকুক না কেন, তার জন্য দেশের আইন, বিচারব্যবস্থা রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে একজন মহিলাকে টেনে এনে বিভিন্ন কিছু লেখালেখি হচ্ছে। যার নেতিবাচক প্রভাব সমাজের ওপর পড়ছে। ইন্ডাস্ট্রিতেও এর খারাপ প্রভাব পড়বে। আশা রাখছি, সুষ্ঠু তদন্ত হোক, পরীমনি যেন সঠিক বিচার পায়।

আজমেরী হক বাঁধন : পরীমনির বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ব্যক্তিজীবন নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, সেটা খুবই দুঃখজনক এবং লজ্জার। একইভাবে এটা অন্যায়। আমরা কারোর ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করতে পারি না, এমনকি আমার সন্তানের জীবনেও নয়। পরীমনি যদি কোনো গুরুতর অপরাধ করেও থাকে, সেটার শাস্তি কিন্তু আদালত দেবে। ওর সঙ্গে যেটা হচ্ছে তাতে আমি লজ্জিত এবং আতঙ্কিত।

জ্যোতিকা জ্যোতি : পরীমনির এই সংকট সময়ে একজন নারী হিসেবে আমি চাই, তার সঙ্গে যেন সঠিক বিচার করা হয়। আর যদি তার অপরাধ হয় উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন, তা হলে যারা তাকে শৃঙ্খলা থেকে বের করল, তাদেরও ধরা হোক, আইনের আওতায় আনা হোক। তাদেরও বিচার করা হোক। যদি তা না হয়, তা হলে এই সমাজব্যবস্থার প্রতি ধিক্কার জানিয়ে আমি এই সুন্দরী নায়িকাটির সুন্দর জীবনের প্রার্থনায় থাকব।

বিক্ষুব্ধ নাগরিকজন : মাদক মামলায় একজন মানুষকে জামিন না দিয়ে দুইবার রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে, যা অযৌক্তিক। অতীতে আমরা দেখেছি, মাদক মামলায় অনেকে জামিনে বেরিয়েছেন, তা হলে তাকে কেন বারবার জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডে নেওয়া হলো! একজন শিল্পীর এমন হেনস্তা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা সরকারকে অনুরোধ করি, আমাদের পরীমনিকে ফিরিয়ে দিন। আমরা তাকে আবার শুটিং সেটে দেখতে চাই।

সোহেল রানা : কেউ যদি ড্রাগস নেয়, তার পক্ষে দাঁড়ানোর কিছু নেই। তাকে অর্গানাইজেশন থেকে বের করে দেওয়া উচিত। আমাদের চলচ্চিত্রের মান-সম্মান, ইজ্জত, প্রতিপত্তি- সব কিছু ডেস্ট্রয় করে দিচ্ছে। এখানে সংগঠন লড়বে কেন? ব্যক্তি পরীমনিকে লড়তে হবে।

মিশা সওদাগর : আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরীমনিকে গ্রেপ্তারের পরই সদস্যপদ সাময়িক স্থগিত করেছি। তার আগ পর্যন্ত আমরা (শিল্পী সমিতি) কিছুই করিনি। আর পরীমনি নিজে অনেক ভালো মানের আইনজীবী রেখেছেন। লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে পরীমনির পক্ষে কেউ আইনি লড়াই না করলে আমরা অবশ্যই ভার নিতাম। নতুন করে দুই দিক থেকে লড়ার তো কিছু নেই।

শিল্পী সমিতি : পরীমনির ঘটনাটি চলচ্চিত্র তথা শিল্পীসমাজের জন্য বিব্রতকর। কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না শিল্পী সমিতি। তাদের মামলা চলমান থাকায় পরীমনির সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হলো। শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্রের ৬- এর খ এবং ৯-এর গ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনো সদস্য যদি সমিতির ভাবমূর্তি ক্ষণœু করে কোনো কর্মকা-ে লিপ্ত হন, সঙ্গে সঙ্গে তার সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877