স্বদেশ ডেস্ক:
বিয়ের ১৫ দিন পর এক যুবক বুঝতে পারেন তার স্ত্রী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরে বিষয়টি স্বজনদের জানান তিনি। এর পর গত শুক্রবার রাতে ওই তরুণীর সাবেক প্রেমিককে আসামি করে মামলা দায়ের হয়। ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার হরিপুরে।
এর আগে গত ১৫ জুলাই ওই যুবকের সঙ্গে পাশের তুলশীপুর গ্রামের ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই তরুণীর বিয়ে হয়। বাঘার থানার ডিউটি অফিসার এসআই কুদ্দুস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এসআই কুদ্দুস জানান, বিয়ের ১৫ দিন পর ওই যুবক জানতে পারেন তার বিবাহিত স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। পরে কোরবানির ঈদের পর তিনি স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে আসেন। সেখানে শ্বশুরবাড়ির সবাইকে স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সংবাদ জানান। এ সংবাদে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মেয়ের পরিবার।
তিনি বলেন, পরদিন উপজেলা সদরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করিয়ে তারা জানতে পারেন মেয়ে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিয়ের আগে একই গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল রানার সঙ্গে তার মেয়ের প্রেমের সূত্রে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এতেই তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন বলেন স্বজনদের জানান।
এসআই আরও জানান, ভুক্তভোগীর বাবার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে মামলার পর থেকে আসামি সোহেল পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ভুক্তভোগীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য গত শনিবার (৩১ জুলাই) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান বাঘার থানার ডিউটি অফিসার এসআই কুদ্দুস ।
এদিকে, সোহেল জোরপূর্বক ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী ওই তরুণী। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি কাউকে জানালে সোহেল বাবাকে হত্যা করার হুমকি দিয়েছিল। এ কারণেই বিষয়টি গোপন রাখি।’