বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ পূর্বাহ্ন

বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করতে ব্লেন্ডিং হতে পারে দাওয়াই

বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করতে ব্লেন্ডিং হতে পারে দাওয়াই

স্বদেশ ডেস্ক: বাংলাদেশে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। প্রথম ঢেউয়ের পর প্রায় সব কিছুই স্বাভাবিক হয়েছিলো দেশে। শনাক্তের হার নেমে এসেছিলো ৩ শতাংশের কাছাকাছি। তবুও খোলা হয়নি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রায় ৫০০ দিন যাবত বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ অববস্থায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্লেন্ডিং শিক্ষা পদ্ধতি চালু থাকলেও আমাদের দেশে করা হয়নি তা। ব্লেন্ডিং শিক্ষাপদ্ধতি হচ্ছে করোনার সংক্রমণ কমে গেলে চালু রাখা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আবার সংক্রমণ বৃদ্ধি হলে বন্ধ করে দেয়া হয়। এই পদ্ধতি আবার এলাকা ভিত্তিকও করা হয়। এক এলাকায় করোনার সংক্রমণ বেশি থাকলে বন্ধ আর অন্য এলাকায় কম থাকলে খোলা রাখা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। মার্চে প্রকাশিত ইউনিসেফের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত বছরের মার্চ থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের মতো এত দীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে মাত্র ১৩টি দেশে। এই দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় রয়েছে শুধু বাংলাদেশ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় জটিলতা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে দিনকে দিন। ২০২১ সালের এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের ৪৪ লাখ পরীক্ষার্থী হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। ২০২০ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হয়েছিলেন ১৭ লাখ শিক্ষার্থী। তাদের কলেজে না গিয়েই কেটে গেছে দেড় বছর। ২০২০ সালে ‘অটোপাস’ পাওয়া ১৭ লাখ শিক্ষার্থী ভর্তি হবার আগেই পতিত হয়েছেন দেড় বছরের সেশনজটে। আর চলতি বছরের পরীক্ষার্থীরাও স্বভাবতই সেশনজটের কবলে পরবেন। এবছরে দেশে ৩ গুচ্ছে ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা, কৃষি গুচ্ছের সাত বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রকৌশল গুচ্ছের তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা বারবার সম্ভাব্য তারিখ দিয়েও পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার তারিখ দিয়েও পিছিয়ে দেয়। পিছিয়ে যায় সাত কলেজে ভর্তি পরীক্ষাও। উচ্চ মাধ্যমিকের পর শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ ভর্তি হন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। এতে ফলাফলের মাধ্যমে ভর্তি করানো হলেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা না হওয়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েরও ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাড়ছে নানা অপরাধ। বাড়ছে অনলাইন গেমিং আসক্তি । কর্মহীন সময়টায় জড়িয়ে পড়ছে মাদকে। ঝরে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। বিশেষ করে গ্রামে বাড়ছে বাল্যবিবাহ। আর আয়মুখী কাজে জড়িয়ে পড়ায় অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছেন। হতাশায় ডুবে যাওয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মহত্যার প্রবণতাও দেখা যাচ্ছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877