মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মার্কিন পতাকা নামিয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে উড়লো ফিলিস্তিনি পতাকা! বিএনপি সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের বিষয়টি আদালতেই সুরাহার চেষ্টা করব, হাইকোর্টের নির্দেশনা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী গাজার ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা করতে সৌদিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড চুয়াডাঙ্গায় দেশ থেকে আইনের শাসন উধাও হয়ে গেছে : মির্জা ফখরুল স্বর্ণের দাম ভরিতে কমলো ১১৫৫ টাকা তীব্র তাপপ্রবাহ : স্কুল-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে নির্দেশ হাইকোর্টের মঙ্গলবারও ঢাকাসহ ২৭ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে টর্নেডোর আঘাতে নিহত ৫
আসামের মুসলিমরা শঙ্কিত……?

আসামের মুসলিমরা শঙ্কিত……?

স্বদেশ ডেস্ক: ৭১ বছর আগে ভারতে জন্মগ্রহণকারী মোহাম্মদ রেহাত আলী বন্দিশালা থেকে মুক্তি পাওয়ার এক মাস পরও এখনো আতঙ্কের মধ্যে আছেন যে ভবিষ্যতে কী হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অধীনস্থ ভারতে আরো বহু মুসলিমকে যে আতঙ্কটা তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।  মোদির ডান-হাত খ্যাত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই রাষ্ট্রহীন মানুষদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ আখ্যা দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত এই তৎপরতা উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও হিন্দু জাতীয়তাবাদী এই দলটি এই সিস্টেমটি সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চায়। মুসলিমদের মধ্যে এটা আতঙ্ক  তৈরি করেছে, কারণ সমালোচকদের মতে, মুসলিমরাই এখানে মূল টার্গেট।

অশিক্ষিত একজন কৃষক আলী বললেন, ‘আমি কখনও কল্পনা করিনি যে আমাকে আমার নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হবে। আমি ভারতীয় নাগরিক, এখানে আসামেই আমার জন্ম এবং কয়েক প্রজন্ম ধরে এখানে বাস করছি আমি।’ ৩ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার এই রাজ্যে চল্লিশ লাখেরও বেশি মানুষকে ‘ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেন্স (এনআরসি) থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমল থেকেই এই রাজ্যে অভিবাসন একটা বিতর্কিত বিষয় হিসেবে আলোচিত হয়ে আসছে। তারা প্রমাণ করতে পারেননি যে, ১৯৭১ সালের আগে তাদের বাবা বা দাদা আসামে ছিলেন। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় বহু বাংলাদেশি ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল। যারা বাদ পড়েছেন, তারা আপিল করতে পারবেন, কিন্তু জানা গেছে যে, ২০ লাখ মানুষ চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে। চলতি মাসে এই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। পুরো প্রক্রিয়াটা অনুধাবন করা এবং এই রাজ্যে প্রয়োজনীয় দলিলাদি সরবরাহ করা, যেখানে বহু মানুষ অশিক্ষিত, সেখানে অনেকের কাছেই এটা দুঃস্বপ্নের মতো।যারা তালিকায় নাম উঠাতে ব্যর্থ হবেন, তাদেরকে ‘ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালের’ কাছে যেতে হবে। বর্তমানে প্রায় একশয়ের মতো ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হয়েছে। আরো ২০০ ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের কাজ চলছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877