স্বদেশ ডেস্ক: একমাস ধরে ঘরের বাইরে পা ফেলেননি মেয়ে। এমনকি কলেজে যাওয়াও বন্ধ করে দেন। মেয়ের এমন আকস্মিক পরিবর্তন দেখে চোখে লাগছিল মায়ের। মেয়ের কিছু যে একটা হয়েছে তা ভালোই বুঝতে পারছিলেন মা।মেয়েকে জিজ্ঞেস করেও কোনো উত্তর মেলাতে পারছিলেন না। তবে একটি দুশ্চিন্তাও জেকে বসেছিল মায়ের মনে। কদিন আর ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করবেন তিনি! অবশেষে মেয়ের মুখোমুখি হন মা।
মায়ের এমন জানতে চাওয়ায় আর চুপ থাকতে পারেনি মেয়ে।বহু কষ্টে চেপে রাখা নির্মম সত্যিটা (ধর্ষণ) একে একে প্রকাশ করতে থাকেন মায়ের কাছে। জানান কিভাবে সহপাঠীরা মিলে তার ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছেন। আর এসব বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই কলেজছাত্রী।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরগড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুন্দরগড় কলেজের ওই শিক্ষার্থী মাসখানেক আগে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে ওই সহপাঠীরা মিলে তার ওপর এমন বর্বর নির্যাতন চালায়।
মাকে ওই তরুণী জানান, কলেজের পাঁচ সহপাঠী কীভাবে তাকে ধর্ষণ করেছে। অথচ লজ্জায়, ভয়ে কাউকে সে কথা কাউকে বলতে পারেননি ওই তরুণী। সব শুনে মেয়েকে সাহস জোগান মা। তিনিই মেয়েকে নিয়ে গত সোমবার থানায় যান।
ধর্ষিত হওয়া তরুণীর বয়ানের ভিত্তিতে পাঁচ সহপাঠীর বিরুদ্ধে এফআইআর নেয় পুলিশ। অভিযোগ পেয়ে ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। পঞ্চম জন রয়েছেন পলাতক।
ওডিশা পুলিশ জানিয়েছে, নিগৃহীতা সুন্দরগড় কলেজের স্নাতকের ওই ছাত্রী মাসখানেক আগে কলেজের সহপাঠীদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন।