শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
শ্যালকের কারণে ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী পলক জনসমর্থনহীন সরকার জনগণের আওয়াজ নির্মমভাবে দমন করে : রিজভী নেতানিয়াহুসহ ইসরাইলি মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করবে আইসিসি! গোটা দেশকেই কারাগারে পরিণত করেছে সরকার : মির্জা ফখরুল চুয়াডাঙ্গায় হিট অ্যালার্ট জারি ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন শুরু পাবনায় ১২ ট্রাক ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ২৩ পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ইরানি প্রেসিডেন্ট ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, সপ্তাহান্তে ইসরাইলে তেহরানের আক্রমণের প্রতিশোধের কথা ভেবে ইরানের রিভ্যোলিউশানারি গার্ডসের একজন ঊর্ধ্বতন জেনারেল ইসরাইলকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, তারা যদি ইরানের পরমাণু ক্ষেত্রে আক্রমণ করে তা হলে ইরান ইসরাইলের ‘পারমানবিক স্থাপনাগুলিকে’ লক্ষ্য করে আঘাত হানবে। ইরানের ওই হামলার বিরুদ্ধে ইসরাইল পাল্টা জবাব দেবার সংকল্প ব্যক্ত করে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন। গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ৭ অক্টোবর আক্রমণ চালানোর সাথে সাথে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর থেকে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার রাতে ইসরাইলের ওপর তেহরানের প্রথম সরাসরি আক্রমণ ছিল ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলার প্রতিশোধ। ওই হামলায় ইরানে রিভ্যোলিউশানারি গার্ড কোরের দু’জন জেনারেলসহ সাতজন সদস্য প্রাণ হারান। ইরানের আক্রমণের প্রতিশোধ কোথায় কিংবা কবে নেয়া হবে সে সম্পর্কে ইসরাইলি কর্মকর্তারা কিছু জানাননি। তবে এই গার্ড বাহিনীর পারমাণবিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান আহমাদ হাঘতালাব বলেন, ইরান পরমাণু ক্ষেত্রের ্পর যেকোনো আক্রমণের পাল্টা জবাব দেবে। ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ হাঘতালাবকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, ‘এই ইহুদিবাদী সরকার [ইসরাইল] যদি আমাদের পরমাণু কেন্দ্র ও স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায় তারা নিশ্চিতভাবেই আমাদের প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হবে। পাল্টা আক্রমণে উন্নত অস্ত্রের সাহায্যে ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে অভিযান চালানো হবে।’ ইরানের শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘নিজেকে রক্ষা করার অধিকার ইসরাইলের আছে।’ আর তার পর পরই ইরানের তরফ থেকে এই সতর্কবার্তা এলো। হাঘতালাব বলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরাইলি আক্রমণের হুমকির কারণে তেহরানকে ‘তার ঘোষিত পারমাণবিক নীতি ও বিবেচনা থেকে সরে এসে তা নতুন করে ঠিক করতে হতে পারে।’ তিনি অবশ্য বিস্তারিত আর কিছু বলেননি। এই ইসলামি প্রজাতন্ত্রটি বরাবর বলে এসেছে যে তাদের পরমাণু কর্মসূচি হচ্ছে শান্তিপূর্ণ এবং পারমাণবিক বোমা তৈরির কথা অস্বীকার করেছে। তারা অবশ্য তাদের জাত-শত্রু ইসরাইলের বিরুদ্ধে তাদের স্থাপনাগুলোর ওপর নাশকতামূলক আক্রমণ চালানোর জন্য এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে পরমাণু বিজ্ঞানীদের হত্যা করার অভিযোগ এনেছে। ২০১৯ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেই বলেছিলেন, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারত। কিন্তু তা করবে না। কারণ ইসলামে এ জাতীয় অস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমের অন্যান্য কর্মকর্তা বলেছেন যে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির অব্যাহত সম্প্রসারণে মনে হয় যে তাদের সামরিক উদ্দেশ্য আছে। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি খর্ব করার লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত এক ঐতিহাসিক চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র এক তরফাভাবে বেরিয়ে আসে। তখন থেকেই ইরান ২০১৫ সালের চুক্তিতে দেয়া শর্ত অনুযায়ী তার প্রতিশ্রুতি থেকে ক্রমশই সরে এসেছে। ওই চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার কুটনৈতিক প্রচেষ্টা দীর্ঘদিন ধরে থমকে আছে এবং কিছু নিষেধাজ্ঞা আবার আরোপ করা হয়েছে। হাঘতালাবের মতে, ইসরাইলের পরমাণু কেন্দ্রগুলোকে ইরান চিহ্নিত করেছে এবং ‘সকল লক্ষ্যস্থল সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য’ তাদের কাছে আছে। ইসরাইলের পরমাণু অস্ত্র রয়েছে বলে ব্যাপকভাবে তা সকলেরই জানা। কিন্তু ইসরাইল কখনো তা স্বীকার করেনি। সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা
মাঠে নামতে তৃণমূলকে নির্দেশ বিএনপির

মাঠে নামতে তৃণমূলকে নির্দেশ বিএনপির

স্বদেশ ডেস্ক:

আন্দোলন ইস্যুতে ভিন্ন কৌশলে এগোচ্ছে বিএনপি। বড় ধরনের কোনো কর্মসূচি দেওয়ার আগে তৃণমূলকে প্রস্তুত করতে চায় দলটি। তাই এবার জাতীয় ও স্থানীয় নানা সমস্যা নিয়ে মাঠে নামতে সব সাংগঠনিক জেলাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ-পানির দাম বাড়ানো, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, সিটি করপোরেশনের ট্যাক্স বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য খাতে ব্যর্থতা, স্থানীয় রাস্তা-ব্রিজ নির্মাণে অনিয়মসহ জনসম্পৃক্ত নানা ইস্যুতে কর্মসূচি পালন করতে হবে। ইতোমধ্যে অনেক জেলা শাখা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপিসহ নানা কর্মসূচি শুরুও করেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য যুগান্তরকে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব কর্মসূচি পালনের কথা বলা হয়েছে। স্থায়ী কমিটি মনে করে করোনা পরিস্থিতিকে এখন রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে সরকার। দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি করোনার অজুহাতে বছরের পর বছর কর্মসূচি গুটিয়ে বসে থাকতে পারে না। সরকারের নানা অনিয়ম, অত্যাচার, দুর্নীতিসহ সব অন্যায়ের প্রতিবাদে বিএনপির কাছেই কর্মসূচি প্রত্যাশা করে জনগণ। তাদের প্রত্যাশা পূরণে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে বিভিন্ন পরিকল্পনা করছেন, স্থানীয়ভাবে কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ এরই অংশ।

জানতে চাইলে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স যুগান্তরকে বলেন, স্থানীয়ভাবে যে দাবি-দাওয়া আছে তা বের করার জন্য সংশ্লিষ্ট কমিটিকে বলা হয়েছে। তারা এগুলো নিয়ে কর্মসূচি গ্রহণ করবে। পানি-বিদ্যুতের দাম বাড়ছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে, করোনার টিকা আনা যাচ্ছে না-এসব ইস্যুতে কর্মসূচি থাকবে।

বিএনপি নেতারা বলেন, এবারের কর্মসূচি হবে জনসম্পৃক্তমূলক। বিভিন্ন সমস্যা ও দাবি-দাওয়া নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াবে নেতাকর্মীরা। তাতেও বাধা দিলে স্থানীয় পর্যায়ে আরও ক্ষোভের সৃষ্টি হবে। সরকারের ওপরও চাপ সৃষ্টি করা যাবে।

গত রোববার রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া, জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, খুলনা, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, নড়াইল জেলা এবং খুলনা মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জন বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এতে দাবি করা হয় জেলাগুলোতে সরকারের ব্যর্থতায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে।

সংক্রমণ রোধে এবং সংক্রমিত রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে দ্রুত সবাইকে টিকা প্রদান, বিনা মূল্যে অধিক হারে করোনা পরীক্ষা, পৃথক করোনা হাসপাতাল স্থাপন ও শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার, আইসিইউ বেড, ভেন্টিলেটর, পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ, বিনা মূল্যে পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস নিশ্চিত করার কথা বলা হয়।

অধিক হারে সংক্রমিত জেলায় প্রয়োজনীয় সুচিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ এবং অন্য রোগীদের চিকিৎসা স্বাভাবিক রাখতে পৃথক ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন দাবি জানানো হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে ওয়াসার পানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় তারা ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে স্মারকলিপিও দেন।

ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এমএ হান্নান খান যুগান্তরকে বলেন, মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে সিটি করপোরেশনের ট্যাক্স বাড়ানোর প্রতিবাদে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। আমরা জনগণের নানা সমস্যা নিয়ে আরও কর্মসূচি দেব।

শিগগিরই জেলা সফর করবে ৮০ টিম : বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় নেতাদের নেতৃত্বে ৮০টি টিম গঠন করেছে বিএনপি। তারা শিগগিরই সাংগঠনিক জেলা সফর করবেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে এক প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় নেতারা বিভিন্ন জেলায় যাবেন। সেখানে সবাইকে গাছ লাগানোর জন্য উৎসাহিত করবেন। এতে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা হবে, আবার জনগণও দেখবে বিএনপি শুধু ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতি করে না, স্থানীয় ও সামাজিক ইস্যুতেও কাজ করে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, সপ্তাহান্তে ইসরাইলে তেহরানের আক্রমণের প্রতিশোধের কথা ভেবে ইরানের রিভ্যোলিউশানারি গার্ডসের একজন ঊর্ধ্বতন জেনারেল ইসরাইলকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, তারা যদি ইরানের পরমাণু ক্ষেত্রে আক্রমণ করে তা হলে ইরান ইসরাইলের ‘পারমানবিক স্থাপনাগুলিকে’ লক্ষ্য করে আঘাত হানবে। ইরানের ওই হামলার বিরুদ্ধে ইসরাইল পাল্টা জবাব দেবার সংকল্প ব্যক্ত করে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন। গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ৭ অক্টোবর আক্রমণ চালানোর সাথে সাথে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর থেকে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার রাতে ইসরাইলের ওপর তেহরানের প্রথম সরাসরি আক্রমণ ছিল ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলার প্রতিশোধ। ওই হামলায় ইরানে রিভ্যোলিউশানারি গার্ড কোরের দু’জন জেনারেলসহ সাতজন সদস্য প্রাণ হারান। ইরানের আক্রমণের প্রতিশোধ কোথায় কিংবা কবে নেয়া হবে সে সম্পর্কে ইসরাইলি কর্মকর্তারা কিছু জানাননি। তবে এই গার্ড বাহিনীর পারমাণবিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান আহমাদ হাঘতালাব বলেন, ইরান পরমাণু ক্ষেত্রের ্পর যেকোনো আক্রমণের পাল্টা জবাব দেবে। ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ হাঘতালাবকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, ‘এই ইহুদিবাদী সরকার [ইসরাইল] যদি আমাদের পরমাণু কেন্দ্র ও স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায় তারা নিশ্চিতভাবেই আমাদের প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হবে। পাল্টা আক্রমণে উন্নত অস্ত্রের সাহায্যে ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে অভিযান চালানো হবে।’ ইরানের শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘নিজেকে রক্ষা করার অধিকার ইসরাইলের আছে।’ আর তার পর পরই ইরানের তরফ থেকে এই সতর্কবার্তা এলো। হাঘতালাব বলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরাইলি আক্রমণের হুমকির কারণে তেহরানকে ‘তার ঘোষিত পারমাণবিক নীতি ও বিবেচনা থেকে সরে এসে তা নতুন করে ঠিক করতে হতে পারে।’ তিনি অবশ্য বিস্তারিত আর কিছু বলেননি। এই ইসলামি প্রজাতন্ত্রটি বরাবর বলে এসেছে যে তাদের পরমাণু কর্মসূচি হচ্ছে শান্তিপূর্ণ এবং পারমাণবিক বোমা তৈরির কথা অস্বীকার করেছে। তারা অবশ্য তাদের জাত-শত্রু ইসরাইলের বিরুদ্ধে তাদের স্থাপনাগুলোর ওপর নাশকতামূলক আক্রমণ চালানোর জন্য এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে পরমাণু বিজ্ঞানীদের হত্যা করার অভিযোগ এনেছে। ২০১৯ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেই বলেছিলেন, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারত। কিন্তু তা করবে না। কারণ ইসলামে এ জাতীয় অস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমের অন্যান্য কর্মকর্তা বলেছেন যে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির অব্যাহত সম্প্রসারণে মনে হয় যে তাদের সামরিক উদ্দেশ্য আছে। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি খর্ব করার লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত এক ঐতিহাসিক চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র এক তরফাভাবে বেরিয়ে আসে। তখন থেকেই ইরান ২০১৫ সালের চুক্তিতে দেয়া শর্ত অনুযায়ী তার প্রতিশ্রুতি থেকে ক্রমশই সরে এসেছে। ওই চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার কুটনৈতিক প্রচেষ্টা দীর্ঘদিন ধরে থমকে আছে এবং কিছু নিষেধাজ্ঞা আবার আরোপ করা হয়েছে। হাঘতালাবের মতে, ইসরাইলের পরমাণু কেন্দ্রগুলোকে ইরান চিহ্নিত করেছে এবং ‘সকল লক্ষ্যস্থল সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য’ তাদের কাছে আছে। ইসরাইলের পরমাণু অস্ত্র রয়েছে বলে ব্যাপকভাবে তা সকলেরই জানা। কিন্তু ইসরাইল কখনো তা স্বীকার করেনি। সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877