শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৯:২৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
গরমে বাড়ির ছাদ ও ছাদ বাগান ঠান্ডা রাখতে ‘মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ প্যারিসের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিলিস্তিনিপন্থী শিক্ষার্থীদের সরিয়েছে পুলিশ জাতিসংঘে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ সংক্রান্ত বাংলাদেশের প্রস্তাব গৃহীত সৌদিতে প্রবল বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ল মসজিদের ছাদ ‘নীলচক্র’ কি নীল হবে না রক্তের রঙ লাল হবে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের ২৫ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর ইরানের নিষেধাজ্ঞা তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর গাজীপুরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ, ৩ জন সাময়িক বরখাস্ত ভোটের পরিবেশ নষ্ট করলে কাউকে ছাড় নয়: ইসি রাশেদা
কঠোর লকডাউনে বিশেষ ব্যবস্থায় খোলা থাকবে গার্মেন্টস

কঠোর লকডাউনে বিশেষ ব্যবস্থায় খোলা থাকবে গার্মেন্টস

স্বদেশ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সারাদেশে আগামী সোমবার থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছুই বন্ধের কথা থাকলেও বিশেষ ব্যবস্থায় খোলা থাকবে গার্মেন্টস কারখানা। এ বিষয়ে আজ শনিবার গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন-বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় গার্মেন্টস কারখানা খোলা রাখার অনুমতি আমরা পেয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘কঠোর লকডাউনের মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্প কলকারখানা খোলা থাকবে। যানবাহন বন্ধ থাকবে এটা মেনেই কারখানা খোলা থাকবে। যেসব শ্রমিক বা কর্মকর্তা অথবা দায়িত্বশীল কারখানার দূরে বসবাস করেন, এই কয়দিনের জন্য তারা কারখানার আশপাশে থাকবেন, অথবা কারখানার ভেতরে অবস্থান করবেন। লকডাউন চলাকালে আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে সব কারখানার মালিকদের বিষয়টি আজকেই জানিয়ে দেব।’

বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি হাতেম বলেন, ‘যাদের পক্ষে কারখানার ভেতরে বা কারখানার আশপাশে থাকা সম্ভব না, তাদের জন্য বিশেষ পাশের ব্যবস্থা করা হবে। সরকার বা প্রশাসন যেন সে ব্যাপারে সহযোগিতা করেন। পাশাপাশি মালিকদের আমরা অনুরোধ করব, মিড লেভেল কর্মকর্তাদের এই কয়দিন ফ্যাক্টরির ভেতরে অথবা ফ্যাক্টরির আশপাশে থাকার সুযোগ করে দিতে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্তে আমরা সহমত পোষণ করি এবং সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সহযোগিতা করব।’

এ ব্যাপারে বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ হলে শ্রমিকরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে গ্রামে যেতে চাইবে, এ কারণে গার্মেন্টস খোলা রাখতে হবে। কারখানা চালু রাখার জন্য যেসব কর্মকর্তার প্রয়োজন হবে, এই কয়দিন তারা হয় কারখানার আশপাশে থাকবে, অথবা কারখানার ভেতরে অবস্থান করবে। আর যাদের পক্ষে কারখানার ভেতরে বা আশপাশে থাকা সম্ভব হবে না, তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতে হবে।’

ফারুক হাসান বলেন, ‘এটা সবাই জানে, ছুটি পেলেই শ্রমিকরা গ্রামের দিকে রওনা দেন। এতে করোনার প্রকোপ আরও ছড়িয়ে পড়বে। গ্রাম-শহর একাকার হয়ে যাবে। এ ছাড়া এই সময় অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য গার্মেন্টস কারখানা খোলা রাখা জরুরি।’

তিনি বলেন, ‘সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করলে কারখানা খোলা রাখাই ভালো হবে। এ ছাড়া অধিকাংশ শ্রমিক যেহেতু কারখানার কাছেই থাকেন, ফলে তাদের যানবাহনের প্রয়োজনীয়তা নেই। কারখানা বন্ধ রেখে যতটা না উপকার, তার চেয়ে খোলা রাখাই বেশি উপকার। বন্ধ হলে অর্ডার বাতিল হবে, বায়াররা চলে যাবে। ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করার সুযোগ কমে যাবে।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877