রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১৫ অপরাহ্ন

নানা অজুহাতে ফেরিতে পারাপার হচ্ছে মানুষ

নানা অজুহাতে ফেরিতে পারাপার হচ্ছে মানুষ

স্বদেশ ডেস্ক: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ যাত্রীদের পারাপারের বিধিনিষেধ থাকার পরেও নানা অজুহাতে ফেরিতে পারাপার হচ্ছে মানুষ। শুক্রবার সকাল থেকে  শিবচরে বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। তবে ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলমুখী যাত্রীদের চাপ গত দুদিন তুলনায় আজ কিছুটা কমেছে।
জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ফেরিঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) জামিল আহমেদ বলেন, ‘ফেরিতে যাত্রীরা উঠছে, নামছে। কোন ফেরিতে যাত্রী বেশি আবার কোনটায় কম। তবে গতকালের তুলনায় আজ যাত্রীর চাপ কিছুটা কমেছে। অতিরিক্ত চাপ নেই। তবে যারা ফেরিতে যাচ্ছে তারা নান অজুহাত দিয়ে পুলিশের কাছ থেকে বের হয়ে ঘাটে আসতে পারছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পণ্যবাহী ট্রাক ও জরুরি প্রয়োজনে আসা যানবাহন দ্রুত সময়ে পারাপারের জন্য আমাদের উভয় ঘাট থেকে ১৫টি ফেরি চালু রেখেছি। বাংলাবাজার ঘাটে আটকা পড়া গাড়িগুলো ফেরিতে পারাপার করা হচ্ছে।

ঘাটে কোন যানবাহনের চাপ নেই।

বিআইডব্লিউটিসি ঘাট সূত্র জানায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত মঙ্গলবার ভোর থেকে শিবচরে বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে বন্ধ রয়েছে লঞ্চ, স্পিডবোট, ট্রলারসহ অন্যান্য যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল। লঞ্চসহ যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে ফেরিতে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে ঘাটে আসছে যাত্রীরা। দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় তারা সিএনজি, ইজিবাইক, মাহিন্দ্র, মোটরসাইকেল, নসিমন-করিমন ও থ্রি হুইলারে চড়ে ঘাটে ভিড় করছেন। এ ছাড়াও দক্ষিণাঞ্চলের ইউপি নির্বাচনে অংশ নেওয়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঢাকায় ফিরছেন। ঘাটে আসা বেশির ভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করছে না। অনেক যাত্রীর মুখে মাস্ক নেই।
বরিশাল থেকে ঢাকাগামী যাত্রী ইকবাল হোসেন বলেন, ‘ভোট দিতে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলাম। এখন ভোট শেষ তাই ঢাকায় ফিরা যাইতাছি। যখন ভোট দিতে আসছি তখন তো আর ভাবি নাই লকডাউন দিয়ে দিবে। তাই লকডাউনের মধ্যে দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে ভাড়া বেশি বেশি দিয়ে ঢাকায় যাইতে হইতাছে। এই বেশি ভাড়ার টাকা তো আর সরকার দিয়া দিবে না।’
গোপালগঞ্জ থেকে আসা যাত্রী শামীম হোসেন বলেন, ‘ঢাকায় একটি কারখানায় কাম করি। এক সপ্তাহের ছুটি লইয়া বাড়ি আসছিলাম অসুস্থ্য মাকে দেখতে। আইসা আটকা পড়ছি। আজকের মধ্যে ঢাকা না ঢুকতে পারলে চাকরি থাকবে না। তাই অনেকটা পথ পায়ে হাইটা ঘাটে আইছি। এখন ফেরিতে উইঠা ঢাকায় যামু।’
সকালে বাংলাবাজার ঘাটে ৮ জন যাত্রী বোঝাই করে বাংলাবাজার ঘাটে আসা বরিশালের মাহিন্দ্রা চালক মোছাব্বের হোসেন। এত যাত্রী তোলার ব্যাপারে এই চালক বলেন, ‘আমরা লাইনের গাড়ি। ৮ জনের বেশি যাত্রী উঠানো হয় না। এই গাড়িতে জনপ্রতি ৩০০ টাকা ভাড়ায় আমরা বরিশাল থেকে ঘাটে আসি। মাঝে মধ্যে পুলিশ ধরে। তবে আটকাইয়া রাখে না। তা ছাড়া আমরা তো মহাসড়ক ধরে কম চলি, ছোট রাস্তা দিয়ে চালাই।’
জানতে চাইলে বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাবাজার ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) জামালউদ্দিন বলেন, ‘ঘাটে মাহিদ্রসহ কোন থ্রি-হুইলার যেন না ঢুকতে পারে তার জন্য আমাদের পুলিশ কাজ করছে। কিন্তু পাবলিক ঠেকানো খুবই কষ্ট। মানুষকে আটকে রাখা যাচ্ছে না। তারা নানা উপায়ে ঘাটে চলে আসছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877